বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে বখাটের অপমান সইতে না পেরে গলায় উড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে এক কিশোরীর আত্মহত্যা করার অভিযোগ ওঠেছে।
রোববার (২১ আগস্ট) সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ওই কিশোরীর নাম মিষ্টি আক্তার (১৬)। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব দেওয়ানের খামার গ্রামের ফেডারেশন পাড়ার মুকুল হোসেনের মেয়ে।
পরিবারের বরাত দিয়ে মৃত কিশোরীর মামা আদম আলী জানান, মিষ্টি একটি প্যাকেজিং (ঠোংগা) তৈরির দোকানে কাজ করতো। গত তিন-চার দিন আগে পাশের বাড়ির আছর উদ্দিন এর বখাটে ছেলে নাঈম সরকার (২০) আমার ভাগনি মিষ্টির ঘরে ঢুকে তাকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে বিষয়টি ইউপি মেম্বার সোহরাব আলীকে জানালে তিনি মিমাংসার জন্য একটি সালিশি বৈঠক করেন। কিন্তু বৈঠকে কোন সমাধান না হওয়ায় মেম্বার সাহেব আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন। এর পর থেকে নাঈম এর পরিবার আইনি পদক্ষেপ না নিতে আমার ভাগনি মিষ্টিকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি বাড়ির বাইরে বের হলেই তারা নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখাত ও গালাগালি করতো। তিনি আরও জানান, রোববার (আজ) সকালে কাজে যাওয়ার উদ্দেশ্য মিষ্টি বাড়ি থেকে বেড় হলে নাঈম ও তার পরিবারের সদস্যরা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে লাঠি দিয়ে মারার চেষ্টা ও অপমান করে। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় উড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে মিষ্টি আত্মহত্যা করে।
এ ঘটনার পর থেকে নাঈম এর পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। ফলে তাদের কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) সোহরাব হোসেন কিশোরীর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে জানান, এর আগে শ্লীলতাহানির চেষ্টার বিষয়টি নিয়ে সালিশী বৈঠক হয়েছিল। সেখানে কোন সমাধান না হওয়ায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, মৃত কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হবে। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।