Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মীরসরাইয়ের শিম চাষিদের অমলিন হাসি

| প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আমিনুল হক, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : কৃষি প্রধান ও মৌসুমি সবজি উৎপাদনের শীর্ষ জনপদ মিরসরাই উপজেলায় এবার খরা ও অতিবৃষ্টিতে বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা শীতের সবজি চাষ করে মানসিকভাবে চাঙা হয়ে উঠছেন। সবজির আবাদে তাদের মুখে হাসি ফিরেছে। মিরসরাই উপজেলার ওয়াহেদপুর, খৈয়াছরা, দুর্গাপুর, মিরসরাই, জোরারগঞ্জ, করেরহাট ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার সীতাকুন্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি মাঠে এখন জমির পার্শ্বে কিংবা পুরো জমিজুড়েই শিমের হাসি ফুটে উঠছে দিনে দিনে। আর শিমের ফুলের এই সাদা, বেগুনি হাসিতে শোভা পাচ্ছে কৃষকের মুখের হাসি। পূর্ব খৈয়াছরা গ্রামের কৃষক আলী আসগর এর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক বছর আগেও এসব এলাকায় বাড়ির আঙিনায় ও পতিত জমিতে পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য শিম চাষ হতো। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কম খরচে শিম চাষ লাভজনক। তাই এখন এলাকার অধিকাংশ বাড়ির আঙিনার পাশাপাশি পতিত জমি, রাস্তার পার্শ্বে, পরিত্যক্ত স্থান সবখানেই চাষাবাদ হচ্ছে শিম। বাজারে নতুন শিমের কদর বেশি। প্রতি কেজি শিম এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ থেকে বারি-১ এবং বারি-২ জাতের শিমের চাষের কথা বললেও এসব এলাকায় এখন আইরেট, নলডোগ, পোটের শিম, কুলি, কাজলা, নলি এবং দেশি শিম (স্থানীয় ভাষায়) চাষ হচ্ছে বেশি। উপজেলার ওয়াহেদপুর গ্রামের কৃষক হামিদুল হক বলেন, ‘আমরা আগে শুধুই ধান বা অন্যান্য ফসল চাষ করতাম। এখন কোন জমি পুরোটাই শিম কিংবা ধানের আইলে শিম দিচ্ছি। এতে ফলন ও ভালো হচ্ছে। এছাড়া পুঁইশাক, লাউ, কুমড়া, ঝাল, ঢেঁড়শ চাষ করছি। উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গির ভূঞা বলেন, ‘এ বছর শেষের দিকে হঠাৎ প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার কারণে অধিকাংশ কৃষকের ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ শিমও নষ্ট হয়ে গেছে। তারপরও কৃষকরা হাল ছাড়েনি। লোকসান দিয়েও আবার লাগিয়েছে সকল সবজির চারা। তিনি আরো বলেন, কয়েক বছর ধরে এ অঞ্চলের বেশ কিছু মানুষ আগাম সবজি চাষ করছে। এরমধ্যে শিম, বেগুন, লালশাক, পুঁইশাক, বরবটি, টমেটো রয়েছে। সাধারণত আগাম সবজি চাষে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ বেশি থাকে। তবে এখন একটু কুয়াশা পড়ছে। ফলে পোকার আক্রমণ কম। আগাম সবজি চাষ করে স্থানীয় কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। কারণ ভালো দাম পাওয়া যায়।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধায়নে নিয়মিত কৃষকদের তত্ত্বাবধান করছি। প্রয়োজন সাপেক্ষে আমরা সার, বীজ বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করছি। উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার নুরুল আলম জানান এবার মীরসরাইতে ৫৫০ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৫শ মেট্রিক টন শিম। আসা করছি এর চেয়েও বেশি ফলন পাওয়া যাবে এবার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ