Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সরিষাবাড়ীতে বাবার ধর্ষণে হোটেলকর্মীর সন্তান প্রসব, লজ্জায় মেয়ের আত্মহত্যা

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০২২, ১০:৩২ পিএম

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বাবার ধর্ষণের শিকার হয়ে নারী হোটেলকর্মী সন্তান প্রসব করায় লজ্জায়-ক্ষোভে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে মেয়ে। শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নিহত ফাতেমা আক্তার সোনিয়ার (২৫) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চেঁচিয়াবাঁধা গ্রামে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাতে আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে। নিহত ফাতেমা আক্তার চেঁচিয়াবাঁধা গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে এবং রামচন্দ্রখালি গ্রামের অন্তর মিয়ার স্ত্রী। তার একবছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রামচন্দ্রখালী গ্রামের দুই সন্তানের জননী ও বিধবা এক নারী (৩৬) কান্দারপাড়া বাস টার্মিনাল সংলগ্ন হোটেলে কাজ করতেন। হোটেলের মালিক সিদ্দিক তাঁর ওই নারীকর্মীকে নানা প্রলোভনে নিয়মিত ধর্ষণ করেন। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন এবং একপর্যায়ে গত ৬ আগস্ট ভোরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে হোটেল মালিক বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে ওই নারী জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এদিকে হোটেল মালিকের মেয়ে ফাতেমা আক্তার স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় কিছুদিন আগে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। একদিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ ও অপরদিকে হোটেলকর্মীর সাথে বাবার এমন অপকর্মের ঘটনায় ফাতেমা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। শুক্রবার দিবাগত রাতে বাবার বাড়ির বসতঘরে ধর্ণার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। গৃহবধূর স্বামী অন্তর মিয়া জানান, চারবছর আগে ফাতেমার সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তিনি বাবার বাড়িতে বেশি থাকতেন। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা তিনি জানেন না।

পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক জানান, হোটেলের নারীকর্মীর সাথে নিহতের বাবার অপকর্মের ঘটনাটি সম্প্রতি জানাজানি হয়েছে। পারিবারিক নানা অশান্তির কারণেই তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছি। সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আত্মহত্যার কারণ তদন্তের আগে কিছু বলা সম্ভব না বলেও তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ