জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের
সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব আজ মারাত্মক হুমকীর সম্মুখীন। তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সরকারকে টিকিয়ে রাখতে তিনি ভারত সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন’। লজ্জা লাগে, ঘৃণা হয় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্যদেশে গিয়ে তাদের ক্ষমতায় রাখার জন্য অনুনয়, বিনয় করেন। তাহলে আমরা কি স্বাধীন আছি? আমরা কি একটি দেশের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়েছি? প্রধানমন্ত্রী কি সিকিমের সেই লেন্দুপ দর্জির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন? তিনি কি বাংলাদেশকে বিক্রি করে দিয়ে ক্ষমতার মসনদে থাকতে চান? সাবধান। সারা বাংলাদেশে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা জেগে উঠেছে। তারেক রহমানের স্লোগান বুকে ধারণ করে রাজপথে লড়াই করে বিজয় লাভ করার জন্য শপথ নিয়েছে। সারাদেশের নেতাকর্মীরা ব্যারিকেড দিয়ে রাখেন কেউ যেন পালাতে না পারে। সকল অন্যায়, হত্যা, দুর্নীতির বিচার করা হবে, কড়ায়-গণ্ডায় হিসেব বুঝে নেয়া হবে।
শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যে বক্তব্য গণমাধ্যমে এসেছে, তাতে দেশবাসী স্তম্ভিত। সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বিকিয়ে দিয়ে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার সুগভীর ও দীর্ঘমেয়াদি ব্লু প্রিন্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রকাশ করায় জাতি উদ্বিগ্ন।
স্বেচ্ছাসেবক দল
সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যিনি বার বার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি কারাবন্দী, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তিনি নির্বাসিত। দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো।
তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সারাদেশের নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের সেই স্লোগান (বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে) বাস্তবায়নের জন্য রক্ত দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে, কাফনের কাপড় নিয়ে প্রস্তুত হয়ে আছে। আমরা
শেখ হাসিনার বিদায় দিয়েই ঘরে ফিরে যাবো।
পুলিশের সমালোচনা করে জুয়েল বলেন, আস্থা ও বিশ্বাসের পুলিশ বাহিনী আজকে নির্লজ্জভাবে দলীয়করণ, ভোট ডাকাতি করে অবৈধ সরকারকে জিতিয়ে তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেছে। তারা বিশেষ দলের বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ হচ্ছে, সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণের মাধ্যমে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। যেকোন মুহূর্তে দেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে। যারা এসবের সাথে জড়িত বাংলাদেশে গণআদালত তৈরি করে তাদের বিচার করা হবে। আর যদি স্বাধীনতা, স্বার্বভৈৗমত্ব রক্ষা করার জন্য, গণতন্ত্র করক্ষার জন্য কাজ করেন তাহলে আমরা আপনাদের পাশে দাঁড়াবো।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান
শেখ হাসিনা সরকারকে ভারত ক্ষমতায় রাখবে কি না- তা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাহেব বলেছেন, ভারতকে বলেছি আমাদেরকে সরকারে রাখতে। অর্থাৎ ভারত তাদেরকে রাখবে কি না- এটা নিয়ে সংশয় আছে। যাদের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর, সেই সম্পর্ক যদি স্বামী-স্ত্রীর হয় সেখানে তালাকে সম্ভাবনা আছে কি না, যদি না থাকে তাহলে মোমেন সাহেব এই ধরনের উক্তি কেন করেন? রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে তারা রাষ্ট্রের কথা, রাজনীতির কথা, দেশের মান-সম্মানের কথাটুকু চিন্তা না করে তারা যে ধরনের উক্তি করেন- তাতে আমরা একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক দাবি করা আমাদের কোনো অবকাশ নেই।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তৈয়েবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং আতাউর রহমান রুনু ও ফারুক হোসেন হিলটনের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল। সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খুলনা মহান স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি একরামুল হক হেলাল। সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রিয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মোঃ আসফ কবীর চৌধুরী শত। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জামির হোসেন। জেলা
বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, নগর
বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা
বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, আবু হোসেন বাবু, মহানগর যুবদল সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারু, মোঃ নজরুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, গালিব ইমতিয়াজ নাহিদ, সোহেল আহমেদ মানিক, আমির ফয়সাল, জুলফিকার আলী ভুট্ট, আনোয়ার হোসেন আনো, ইউসুফ মোল্লা, এ্যাড. এসকেন্দার মির্জা, মুন্তাসির আল মামুন, ছাব্বির হোসেন রানা। উপস্থিত ছিলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের মোঃ নাসির উদ্দিন, হেলাল ফরাজি, খায়রুজ জামান সজিব, সাইফুল ইসলাম মল্লিক, মহিদুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম বাচ্চু, কামরুল ইসলাম, মঞ্জুর শাহিন রুবেল, লাবু বিশ্বাস, আলাউদ্দিন তালুকদার, এম এম শফি, বিল্লাল হোসেন এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নুরুল ইসলাম খোকা, সোহাগ মুন্সি, এস এম রফিকুল ইসলাম, আব্দুল কাদের জনি, সোহেল আহম্মেদ মানিক, গালিম ইমতিয়াজ, আবু তাহের, টিটু জুমাদ্দার, এস এম শামীম আহসান, হেলাল আহমেদ, আসাদুল ইসলাম বিল্পব, যগেশ্বর সানা কার্তিক, শামীম আহম্মেদ রমিজ, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, টুটুল, আলমগীর হোসেন, ইমরান হোসেন খাজা, সোহেল, বাপ্পি, এস এম হারুন, সিহাবুল ইসলাম।
এর আগে রেলস্টেশন থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের প্লাকার্ড নিয়ে বিশাল র্যালী নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।