রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে তিলের পর এবার গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে কৃষি উদ্যোক্তা সফলতা অজন করেছেন। বুড়িচং উপজেলার হরিপুর গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো. সোহেল মিয়া কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রথমবারের মতো চাষ করেছেন গ্রীষ্মকালীন টমেটো। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পাওয়া রাজস্ব খাতের অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রদর্শনীর আওতায় ৩ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন বারি টমেটো-৮। গত ১ মাসের ও বেশি সময় ধরে চলা প্রচন্ড তাপদাহে টমেটোর ঢলে পড়া রোগের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন ওই উদ্যোক্ততা কৃষক।
কৃষক মো. সোহেল মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, চাষের সকল উপকরণ পেয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে। নিজের টাকায় শুধু পলি টানেলের বাঁশ ও কিছু ছত্রাকনাশক কিনেছেন। সার ব্যবস্থাপনা, সেচ ব্যবস্থাপনা, রোগ ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনার সকল পরামর্শ কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ও উপ-সহকারি কৃষি অফিসার দিচ্ছেন। বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এ বছর ঢলে পড়া রোগের প্রকোপ বেশি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া তুলনামূলক আমার জমির অবস্থা ভালো। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি করে টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে জমি থেকেই বিক্রি হচ্ছে। আশাকরি হাজার বিশেক টাকা লাভ থাকবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর বুড়িচং উপজেলায় প্রথমবারের মতো ৩ শতক করে ১০টি রাজস্ব প্রদর্শনী ও উপ-সহকারি কৃষি অফিসারদের দ্বারা উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে আরো ৫ জন কৃষক গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের উদ্যোগ নেন। টমেটো বিক্রয় প্রায় শেষের দিকে। আগস্ট-এর শেষের দিকে ও সেপ্টেম্বরের শুরুতে পুনরায় চারা করে নভেম্বর থেকে আগাম বাজার ধরতে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ বেশ লাভজনক, তবে চ্যালেজ্ঞিং। এ বছর প্রচন্ড তাপদাপে ঢলে পড়া রোগ ঠেকাতে আমাদের বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে সুপরামর্শ আর পরিকল্পিতভাবে আগালে সফলতা পাওয়া সম্ভব। হরিপুর গ্রামের সোহেল মিয়া তারই প্রমাণ। আগামীতে আরো নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে এগিয়ে আসবে এমনতর প্রত্যাশা করি। উল্লেথ্য, উপজেলার মনোহরপুর ব্লকের কৃষক মো. হারুনুর রশীদসহ উপজেলার ১৮ জন কৃষক তিল বীজ উদ্যোক্তা হিসেবে ইতোমধ্যে স্থান করে নিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।