বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় মনিটরিং টিমের দলনেতা অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সারোয়ার বলেছেন, ‘জনদূর্ভোগ সৃষ্টিকারি সরকারের পতন নিশ্চিত করতে তৃণমূলে জনগণকে সম্পৃক্ত করে ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের হাট-বাজারে সভা, সমাবেশ, মিছিল করে চলমান আন্দোলন জোরদার করতে হবে। দূর্নীতি-লুটপাট আর অর্থ পাচার করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে সরকার।
বর্তমানে সরকারের অবস্থা ভালো নেই, এখন বড় ধাক্কা দিতে হবে। এ জন্য দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষা, বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে এই আন্দোলনে সবাইকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
এ সময় এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের দাবি বাস্তবায়ন হলে বিএনপি আগামী নির্বাচনে যাবে। সে বিষয়টি মাথায় নিয়েই সকল বাঁধা মোকাবেলা করে কাজ করতে হবে।’
শনিবার (২০ আগষ্ট) ময়মনসিংহ নগরীর বিএনপি কার্যালয়ে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আগামী ২২ আগষ্ট থেকে প্রতিটি ওয়ার্ড-ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে দলের র্শীষ সারির নেতাদের নিয়ে ময়মনসিংহে বিভাগীয় প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জ্বালানি পরিবহন ও সকল দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলায় দুই নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে আগামী ২২ আগষ্ট থেকে সুশৃংখল সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে এই প্রস্তুতি সভা করে বিএনপি।
তবে গুরুত্বপূর্ন এই সভায় বেশ কিছু র্শীষ সারির নেতা উপস্থিত না হওয়ায় ক্ষোভ ঝেঁড়েছেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা।
সভায় সঞ্চালক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় মনিটরিং টিমের সমন্বয়কারী সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। এতে ময়মনসিংহ বিভাগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর জেলা এবং ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির র্শীষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির র্শীষ নেতা শরীফুল আলম বলেন, হতাশ হবার কোন কারণ নেই, বাংলাদেশের যে কোন বিভাগের চেয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতিটি ইউনিটের বিএনপি অনেক শক্তিশালী। চূড়ান্ত আন্দোলনে আমরা সেই সক্ষমতার প্রমাণ রাখতে প্রস্তুত আছি।
এছাড়াও সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ডা. আবদুল কুদ্দুস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল বারী ড্যানী, নির্বাহী সদস্য সাবেক মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ার, শাহ নুরুল কবির শাহীন, আবুল বাশার আকন্দ, মাহমুদুল হক রুবেল, ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মিয়া, অ্যাডভোকেট আরিফা জেসমিন, ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, শাহ শিব্বির আহমেদ ভুলু ও শামীম আজাদ, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, ফখরউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, আখতারুল আলম ফারুক ও আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান দুদু, শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় বিএনপির বৈদেশিক কমিটির সদস্য ইয়াসির খান চৌধুরী, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আনোয়ারুল হক, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, আলমগীর মাহমুদ আলম, শুক্কুর মাহমুদ ও অধ্যাপিকা রায়হানা ফারুক, ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, কাজী রানা, ফারজানা রহমান হোসনা, অ্যাডভোকেট আবদুল হান্নান খান, কায়কোবাদ মামুন, এ কে এম মাহবুবুল আলম ও এনামুল হক আকন্দ লিটন উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।