পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করেছেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে যা যা করা দরকার, ভারত যেন তা করে সেজন্য তিনি ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা বলেছেন, এ ধরনের বক্তব্য তাদেরকে চরমভাবে বিব্রত করেছে। সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, এই বক্তব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য শেখ হাসিনা, সরকার এবং আওয়ামী লীগের জন্য চরম বিব্রতকর।
সরকার এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেও তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে বলে দলটির সিনিয়র একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম নেতা রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, এ ধরনের বক্তব্য তাদের জন্য বিব্রতকর।
দাশগুপ্ত বলেন, 'তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে তাদের সামনে এ বক্তব্যটি রাখলেন, যাদের সম্পর্কে এক ধরনের অপপ্রচার আছে যে এরা ভারতের দালাল। যদিও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়-তারা কখনও অন্য দেশের দালালি করে না এবং দালালের অবস্থান তারা গ্রহণ করে না।'
'সেখানে আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে এ বক্তব্যগুলো সাধারণভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে বিব্রতকর। এবং সবাই কিন্তু এই একই কথা বলছেন' মন্তব্য রানা দাশগুপ্তের।
বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা রকম আলোচনা হয়ে থাকে।
কিন্তু যখন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করেছেন বলে বক্তব্য দেন, তখন সেটা দেশের জন্যই বিব্রতকর। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।