Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অনিশ্চয়তায় চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প

ভাঙ্গা-বেনাপোল ভায়া নড়াইল-যশোর মহাসড়ক

আবদুস ছালাম খান, লোহাগড়া (নড়াইল) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পর রাজধানী থেকে কালনা সেতু পার হয়ে লোহাগড়া-নড়াইল-যশোর হয়ে সড়কপথে বেনাপোল যাওয়ার পথ অনেকটা সহজ হবে। তবে ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত না হওয়ায় ভারি যানবাহনগুলিকে খুলনা ঘুরে ৮৬ কিলোমিটার পথ বেশি পাড়ি দিয়ে রাজধানী থেকে বেনাপোল যেতে হচ্ছে। অথচ মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করা হলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বেনাপোল স্থলবন্দরের দূরত্ব কমে যেত।


সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল ১৩০ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার জন্য ১১ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল। প্রকল্প অনুসারে মহাসড়কের নকশার কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। নকশা অনুযায়ী প্রকল্পের নড়াইল ও যশোর অংশে দুটি বাইপাস এবং পাঁচটি ফ্লাইওভার রয়েছে। কিন্তু অর্থায়নের অভাবে এ প্রকল্প কবে নাগাদ শুরু হবে দায়িত্বশীল কেউ তা জানাতে পারেনি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, অর্থায়নের জন্য ভারত সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। এদিকে মহাসড়কটিকে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমির মৌজাভিত্তিক দর ও ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয় এবং অবকাঠামো, গাছপালা ইত্যাদির ক্ষতিপূরণ ব্যয় প্রাক্কালন করে পাঠানো জন্য ২০২০ সালের ১ অক্টোবর ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও যশোর জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়া হয়েছিল। তখন নড়াইল অংশে ৩২টি মৌজায় ২৭৪ একর জমির সম্ভাব্য ব্যয় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করে ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
এর পরে এ বিষয়ে আর কোনো অগ্রগতি নেই। সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল থেকে খুলনা হয়ে ঢাকার দূরত্ব ২৯০ কিলোমিটার। ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতি করলে তখন এ সড়ক দিয়ে বেনাপোল থেকে ঢাকার দূরত্ব হবে মাত্র ২০০ কিলোমিটার। তখন ভারতের কলকাতার দূরত্ব হবে মাত্র ২৮৪ কিলোমিটার। রাজধানী থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টার মধ্যে যশোর পৌঁছানো যাবে। বেনাপোল আর কলকাতা যেতে সময় লাগতে পারে মাত্র ৪-৫ ঘণ্টা।
একইভাবে ঢাকার সঙ্গে যশোরের শিল্প ও বাণিজ্যিক শহর নওয়াপাড়া এবং মোংলা বন্দরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্য জেলার দূরত্বও কমে যাবে। এতে সময় এবং অর্থ দুটিরই সাশ্রয় হবে। বর্তমানে ভাঙ্গা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত পুরানো এই সড়কটি মাত্র ১৮-২৪ ফুট প্রশস্ত। এ সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি অপ্রশস্ত সেতু রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব সেতু দিয়ে পাঁচ টনের বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল সরকারিভাবেই নিষেধ। যানবাহন চালকরা পুরাতন ও ঝুঁকিপূর্ণ অপ্রশস্ত সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এই সড়কের পরিহার করে বেনাপোল থেকে খুলনা ঘুরে ঢাকা যাতায়াত করেন। সওজ নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ জরুরি হয়ে পড়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ