Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোদাগাড়ীতে সেচের অভাবে ফেটে যাচ্ছে জমি

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০২২, ১২:০১ এএম

বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং এর কারণে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কদর বেড়েছে হাতপাখা, মোমবাতি ও কেরোসিন তেলের দাম। জনপদে দিন-রাত চলছে লোডশেডিং। বিদ্যুৎ কতক্ষণ থাকে না থাকে তা কেউ জানেন না। বিদ্যুৎ থাকছে অল্প সময়। চলে যাচ্ছে বারবার। এই যাওয়া-আসার খেলায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। প্রচণ্ড খরতাপ আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট এলাকাবাসী। এ অবস্থায় গরম থেকে রক্ষা পেতে উপজেলাগুলোতে বেড়েছে হাতপাখা, মোমবাতি ও কেরোসিন তেলের কদর। বিক্রিও বেড়েছে কয়েকগুণ, মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুন। এলাকাবাসী জানান, কোনো উপায় না পেয়ে হাতপাখাই এখন আমাদের একমাত্র ভরসা। হাতপাখা দিয়ে বাতাস করে কোনোমতে শরীর রক্ষা করছেন বলে জানান তারা। এদিকে হাটবাজারে হাতপাখা বিক্রি বেড়ে গেছে কয়েকগুণ বলে জানান ব্যবসায়ীগণ। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ থাকায় হাতপাখা তেমন আর তৈরি হতো না গ্রামে। কিন্তু ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে আবার গ্রামের লোকজন নিজ হাতে শরীরে বাতাস করার জন্য হাত পাখা তৈরি শুরু করছেন। প্রবল খরা এদিকে অন্য দিকে ভয়াবহ বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারনে বরেন্দ্রভূমিতে লাগানো রোপা আমন ধান সেচের অভাবে মরে যাচ্ছে, জমিতে ফাটল বেড়ে যাচ্ছে, গভীর রাত পর্যন্ত কৃষকদের ডিপটিউবলের পাশে লম্বা লাইন দিয়ে পানির অন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অনেকে পানি না পেয়ে সকালে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসছেন। কেন না বেশিরভাগ ডিপটিউবলের ড্রাইভারগণ নিজেদের খেয়াল খুশিমত পানি দিচ্ছেন। নিমঘুটুতে ২ জন আদিবাসীকৃষক মারা যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ডিপ ড্রাইভার গ্রেফতার হওয়ার পর ড্রাইভারগণ কিছুটা কৃষকদের সাথে ভাল ব্যবহার করলেও এখন আবার শুরু করেছে কৃষকদের উপর অকথ্য নির্যাতন। বিভিন্ন যুক্তিতে বিঘাপ্রতি টাকা উত্তোলন করে থাকেন গরীর কৃষকদের নিকট হতে। টাকা না দিলে পানি বন্ধ করে দেয়ারও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। উত্তোলনকৃত টাকা কোন স্বচ্ছ হিসেব থাকে না নামমাত্র খরচ করে সব লুটপাট হচ্ছে বলে ভূক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ। গত বুধবার গোদাগাড়ী উপজেলার আইনশৃঙ্খলা সভায় ডিপটিউবল ড্রাইভারদের দৌরাত্ম্য নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমান হলে চাকুরি থেকে ছাঁটাইসহ শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.জানে আলম ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ