Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কুমিল্লার মুরাদনগরে মরতুজ আলী ফাউন্ডেশনের নামে চাঁদাবাজি ও অর্থ লুটপাট

মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০২২, ৩:২৩ পিএম

নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের বড়ইয়াকুড়ি গ্রামের হযরত সৈয়দ মরতুজ আলী (রহঃ) ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠিতা মেহেদী জামান চয়ন। তিনি অসংখ্য ভুঁইফোড় সংগঠনের প্রতিষ্ঠা করে অর্থ ও অনুদান সংগ্রহ করে আত্মসাৎ অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে তার নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বাড়ি ও অর্থ রয়েছে বলেও জানা যায়। ভুঁইফোড়া সংগঠনগুলোর কার্যক্রম বিভিন্ন জেলায় সম্প্রসারণের চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংগঠনগুলো পরিচালনা করার জন্য পৃথক কমিটি থাকলেও সভাপতিসহ অনেকেই যানেন না কমিটিতে তাদের নাম থাকা ও সংগঠনের কার্যক্রম বিষয় নিয়ে। এদিকে, শিগগিরই ফাউন্ডেশনের নামে অর্থ অত্মসাৎ ও তার সম্পদের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সংশ্লিষ্টদের অনুসন্ধানে নামবে বলে মনে করছেন স্থানিয়রা। জানা যায়, ২০১৮ সালে তিনি হযরত সৈয়দ মরতুজ আলী (রহঃ) ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু করেন। যা ২ মার্চ ২০২০ সালে সমাজসেবা অধিদফতর থেকে (নিবন্ধন নং- কুমি-২১৩৩/২০২০) নিবন্ধন গ্রহন করেন। একই সালে সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর থেকে (রেজি: নং: জে স গ গ্র/কুমি-১৩/২০) নামে মাত্র কিছু বই রেখে নিবন্ধন করেন মরতুজ আলী (রহঃ) পাঠাগার। এরপর একই নামে যুব সংস্থ্যা, ক্যাবল ব্যবসা ও নিজেকে পীরের ভূমিকায় তৈরী করেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, এমপি ও বড় বড় নেতাদের সাথে সেলফি তুলে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করতেন। সেলফির মাধ্যমে নিজেকে ক্ষমাতাবান বলে জাহির করে ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ভুঁইফোড় সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি শুরু করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ ফুটের একটি টিনের ঘরে হযরত সৈয়দ মরতুজ আলী (রহঃ) ফাউন্ডেশন, হযরত সৈয়দ মরতুজ আলী (রহঃ) পাঠাগার ও বড়ইয়াকুড়ি সৈয়দ বাড়ী দরবার। ঘরটির ভিতরে গিয়ে দেখা ঘরটির মধ্যে দুইটি রুম রয়েছে। এর মধ্যে একটি রুমে ক্যাবল ব্যাবসার অফিস আর অপর রুমটিতে দুইটি হেঙ্গারে নামে মাত্র কিছু বই দিয়ে সাজানো। মুরাদনগর উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের ২০২০-২০২১ অর্থ বছর ও কুমিল্লা জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের ২০১৯-২০২২ অর্থ বছরের পৃথক দুইটি নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা যায় ৪ লক্ষ ৮৫ হাজা ৪ শত টাকা আয় থেকে খরচ হয়ছে ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫ শত টাকা। কিন্তু বাস্তবে নিরীক্ষার প্রতিবেদনে উল্ল্যেখ করা ব্যায়ের কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে হযরত সৈয়দ মরতুজ আলী (রহঃ) পাঠাগারের সভাপতি ও দারোরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন খন্দকার বলেন, এই সংগঠনের কার্যক্রম বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। বড় এক ভাইয়ের অনুরোধ রক্ষায় সভাপতি হয়েছি। ইতি মধ্যে সভাপতির পদটি থেকে অব্যাহতি চেয়ে

উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকতার্ ও ফাউন্ডেশেরে প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী জামান চয়নকে বলেছি। হযরত সৈয়দ মরতুজ আলী (রহঃ) ফাউন্ডেশেরে প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী জামান চয়ন সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সকল সদস্য ও শুভাকাঙ্খিদের চাঁদার মাধ্যমেই এই সংগঠন পরিচালিত হয় এবং সঠিক ভাবে বিতরন করা হয়। যা বাৎসরিক অডিট রিপোর্টের মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে। উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার কবির আহামেদ বলেন, সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে শুধু মাত্র এক বার অনুধান দেওয়া হয়েছে। সেই অর্থ আমি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত থেকে বিতরণ করেছি। অন্য অনুদানের বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ