পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা বেহেশতে আছি’—পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের এই বক্তব্যের উদ্ধৃতি টেনে গতকাল দেয়া তার আরেক বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,বেহেশতে থেকে তো আর মিথ্যা কথা বলা যায় না তাই সত্যটাই বলে দিচ্ছেন অবৈধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আমরা বলেছি পার্শ্ববর্তীদেশকে বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে গতকাল দেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন,' এ কথাটা কিন্তু আজকে দেশের প্রত্যেকটি গণমাধ্যমে এসেছে।তার মানে কি জনগনের সমর্থন নেই।শেখ হাসিনার পায়ের নিচে মাটি নেই এই কথাটাই তো সত্য প্রমানিত হয়েছে।এই অবৈধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনেক সময় তার অজান্তেই অনেক সত্য কথা বলে বসে।এই সরকার সম্পর্কে বিএনপি এবং দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের যে ধারণা সেটাই এই সরকারের মন্ত্রীরা প্রমান করছেন।বেহেশত থেকে তো আর মিথ্যা কথা বলা যায় না তাই সত্যটাই বলে দিচ্ছেন অবৈধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শুক্রবার(১৯ আগস্ট)বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন,'আমাদের নেত্রী এই সরকার প্রধানকে লেন্দুপ দর্জি'র সাথে তুলনা করেছিলেন।এটা কি প্রমানিত হয় না আজকে মোমেন সাহেবের এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে যে খালেদা জিয়ার বক্তব্যই ছিল সঠিক।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন,'
আজকে দেশে গুম,খুন হত্যার রাজত্ব চলছে।মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই।কিন্তু এগুলোর বিষয়ে সরকার কর্ণপাত করে না কারন আপনারা জানেন এদের কারনেই এসব ঘটনা ঘটছে।জনগনের ভিত্তির উপর তারা তো দাঁড়িয়ে নেই।তারা দাঁড়িয়ে থাকতে চায় অন্যের শক্তির উপর দিয়ে।এরা যে দড়িটা ধরে আছে সেটা জনগনের দড়ি নয়,রশিটা হচ্ছে বাহিরের।আজকে প্রকাশ্যে সেটা প্রকাশ করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিএনপির এই নেতা বলেন,'
আমরা জাতীয়তাবাদী শক্তির সন্তান। আমরা জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশনায়ক তারেক রহমান তাদের নেতৃত্বে আমরা গড়ে উঠেছি আমরা আমাদের জনগণকে বিশ্বাস করি,জনগণকে আমরা মনে করি সকল ক্ষমতার উৎস যেটা আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বলে গেছেন। আমাদের দড়ি অন্য কোথাও নেই।
তিনি বলেন,'সরকারে গঠনের প্রশ্নে আমরা সবসময় জনগনের শক্তির উপর সাহস করেই কথা বলি। সেজন্য স্বচ্ছ নির্বাচন ইম্প্রেসিভ নির্বাচন সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন আমরা চাই।আমরা কারও কাছে ধর্না দেই না যে আমাদেরকে ক্ষমতায় বসাতে হবে।ওরা (সরকার)সব কিছু হারিয়েছে তারা জনগনকে ত্যায্য করেছে বলেই অন্যের কাছে যাচ্ছে তাদেরকে টিকিয়ে রাখার জন্য।দেশের মানুষের কাছে যাওয়ার তো তাদের মুখ নেই কারন তারা ভোটকে কবর দিয়েছে।তারা গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কবর দিয়েছে তারা জনগণের কাছে যেতে পারবে না বলেই অন্যদের কাছে ধরনা দিচ্ছে।
আমাদের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করে অন্যের শক্তির উপর দিয়ে তারা ক্ষমতায় টিকিয়ে থাকতে চায়।
এসময় আরও উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল,বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল,স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু,সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী, সহ-সভাপতি আনু মোহাম্মদ শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।