বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাকীতে খাবার না দেয়ায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে রেস্টুরেন্টে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার বরমী মিস্টিঘর অ্যান্ড হোটেলে। এমসয় হামলাকারীরা এলোপাথারি মারপিট করে রেস্টুরেন্টের ছয় কর্মচারীকে আহত করে। এছাড়াও ভাঙচুর করে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি করে। আহতরা হলো- মফিজুদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, ছাইফুল ইসলাম, রাকিব, কাজল ও জামাল উদ্দিন। গুরুতর আহত মফিজ ও শফিকুল শ্রীপুর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
অভিযুক্ত আজিজুর রহমান জন উপজেলার মাওনা গ্রামের মৃত মাহবুবুর রহমানের ছেলে। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রেস্টুরেন্ট মালিক বদরুল ইসলাম জানান, যুবলীগ নেতা জনের সমর্থক নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময় রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে বিল না দিয়ে জনের নাম করে চলে যায়। পড়ে ওই টাকা আর পরিশোধ করেনা। এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে। গত বুধবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে জনের নাম করে ১০/১৫ জন যুবক পাঁচটি মুরগির চাপ, পরোটা বাকীতে চায়। দোকানের কর্মচারীরা বাকী দিতে অস্বীকার করে। এতে যুবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে রেস্টুরেন্ট বয় মফিজুদ্দিনকে মারধর করে চলে যায়। কিছুক্ষন পর তারা সংগঠিত হয়ে পুনরায় জনের নেতৃত্বে রেস্টুরেন্টে হামলা চালায়। কর্মচারীদের মহাসড়কে নিয়ে পেটায়। এতে রেস্টুরেন্টের ছয় কর্মচারী আহত হয়। হামলাকারীরা হোটেলের আসবাপত্র ভাঙচুর করে এবং তৈরি খাবার নষ্ট করে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি করেছে।
এ বিষয়ে আজিজুর রহমান জন তার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার কয়েক কর্মীর সাথে রেস্টুরেন্ট কর্মচারীদের মারামারি হয়েছ। তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।