Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চুরি যাওয়া রিজার্ভের ৬৬ মিলিয়ন ডলার ফেরত পেতে ফের শুনানি : আইনমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া রিজার্ভের ৬৬ মিলিয়ন ডলার ফেরত পেতে পুনরায় শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ফিলিপাইন সরকারের অর্থমন্ত্রী, আইন প্রতিমন্ত্রী, সিনেট কমিটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। অর্থ ফেরত পেতে তারা প্রশাসনিক ও আইনি সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তিনি বলেন, চুরি যাওয়া বাকি অর্থ ফেরত পেতে সিনেট প্রেসিডেন্টের নিকট শুনানির আবেদন করা হয়েছে। তারা সেটি গ্রহণ করেছে এবং শিগগিরই শুনানি আয়োজনের আশ্বাস দিয়েছে।
নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি যাওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে হদিস না মেলা ৬৬ মিলিয়ন ডলার রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনকেই (আরসিবিসি) পরিশোধ করতে হবে বলে মনে করে বাংলাদেশ। রিজাল ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর দায় চাপিয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকৃতি জানালেও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আরসিবিসি যে এ কেলেঙ্কারির সঙ্গে খুব করে সংশ্লিষ্ট সে ব্যাপারটি স্পষ্ট। আর তাই আরসিবিসিকে ৬৬ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের জন্য আহ্বান জানান তিনি।
হ্যাকারদের একটি গ্রুপ চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ চুরি করার চেষ্টা করে। তবে পুরোপুরি সফল না হলেও ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করতে সক্ষম হয় তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকের কোড ব্যবহার করেই এই অর্থ চুরি করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম এবং সুইফট কোড কন্ট্রোলে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ৩০টি পেমেন্ট অ্যাডভাইজ পাঠায় ফিলিপাইনের স্থানীয় ব্যাংকে টাকা স্থানান্তরের জন্য। এর মধ্যে ৪টি অ্যাডভাইজ অনার করে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক। যার মাধ্যমে ৮১ মিলিয়ন ডলার সফলভাবে পাচার করতে সক্ষম হয় হ্যাকাররা। রিজার্ভ চুরির ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর আরসিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
বলা হয়, ৫০০ ডলার করে জমা দিয়ে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনে (আরসিবিসি) ২০১৫ সালের ১৫ মে কয়েকটি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্টগুলোতে আর কোনো লেনদেন হয়নি। ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাকড করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকাররা ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ চুরি করে ওই অ্যাকাউন্টগুলোতে স্থানান্তর করে। অর্থ উদ্ধার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত ফেরত পেয়েছে মাত্র ১৫ মিলিয়ন ডলার। বাকি ৬৬ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার নিয়ে আলোচনা করতে বর্তমানে ফিলিপাইনে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। এ দলের নেতৃত্বে ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ ব্যাংক

২৫ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ