ফরিদপুর ভাঙ্গায় উপজেলার পর্ব সদরদি ৩ নং ওয়ার্ডের পূর্ব সদরদি গ্রামে অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী ও বালুদস্যুদের হাতে ‘দৈনিক সকালের সময়’ পত্রিকার ভাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি মো. জাহিদ শিকদার শারিরিকভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল বুধবার ভাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সদরদি গ্রামের বালুদস্যু অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ীদের বাড়ির সামনে সাংবাদিক লাঞ্চিতের ঘটনাটি ঘটে। এই বিষয় জাহিদ শিকদার জানান, ঘটনার সময় আমি বালু উত্তোলনের এবং ড্রেজারের ছবি তুলে আমার বাসায় ফিরছিলাম। এ খবর পান ড্রেজার ও বালু ব্যবসায়ী মো. খবির তার ভাই মো. জামির উভয় পিং হাসেম, উভয় সাং পুর্বসদরদি, ভাঙ্গা, ফরিদপুর। পথিমধ্যে উল্লেখিতরা আমার গতিরোধ করে ইচ্ছামত তারা আমাকে কিল, ঘুষি, চড়, থাপ্পড়, মেরে মাটিত ফেলে দেয় এবং শরীরে পরিদেয় গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলে। ঘটনা শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘটনা শুনেন ও জানেন। গ্রামের মুরব্বীদের পরামর্শে আমি প্রথমে হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। পড়ে ভাঙ্গা থানায় গিয়ে পুলিশকে জানাই। তারা লিখিত অভিযোগ দিতে বললে, আমি থানায় অভিযোগ দেই। উল্লেখিত, বিষয় গণমাধ্যমের সাথে কথা হয় অভিযুক্ত মো. ফরহাদ মাদতুব্বরের সাথে তিনি বলেন, ঘটনা শুনছি, ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। ড্রেজার আপনার কিনা বালু উত্তোলন করছেন কার নির্দেশে। তিনি বললেন এটা সরকারি লোকের কাজ, সরকার বালু মাটি তুলে সরকারি মাঠ তৈয়ার করা হচ্ছে। এর বেশি জানেন ভাঙ্গার ইউএনও স্যার। এই প্রতিনিধির সাথে কথা হয়, ভাঙ্গার সহকারী কমিশনার ভুমি জনাব, মাহমুদুল হাসানের সাথে। তিনি পরিষ্কার করে করে বললেন, আমার উপজেলায় কোন অবৈধ ড্রেজার ও বালু ব্যাবসায়ী থাকবে না।

আমি কঠোর অবস্থানে আছি। আগামীতে ও থাকবো। ইতোমধ্যে, আমি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫টি ড্রেজার বন্ধ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।
পূর্ব সদরদিতে ড্রেজার ও বালু ব্যবসায়ীদের হাতে একজন সাংবাদিক লাঞ্চিত হয়েছেন। ঔ সাংবাদিক ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছেন। আমি ড্রেজারের বিষয় জরুরি ব্যবস্থা নিব। এই বিষয়, ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জকে তার সরকারি মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আজিম উদ্দীনের জানান, পুর্বসদরদিতে সাংবাদিক লাঞ্চিতের ঘটনাটি আমি শুনেছি। কোনো অন্যায় এখানে চলবে না। আমি এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।