Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাগেরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে আগুন, অসহায় ক্রেতারা

বাগেরহাট প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০২২, ৫:২৯ পিএম | আপডেট : ৫:৩০ পিএম, ১৭ আগস্ট, ২০২২

বাগেরহাটে জ¦ালানী তেলেন মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে হুর হুর করে বেড়ে গেছে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। প্রতিটি পন্যের দাম এখন উর্দ্ধমুখি হয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। আর এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বুধবার (১৭ আগষ্ট) দুপুরে বাগেরহাট শহরের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাল, ডিম, কাঁচামরিচসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রনহীন। গত কয়েকদিনে ২৫ কেজির চালের বস্তায় প্রকার ভেদে ১শ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন নি¤œআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। বাজার করতে গিয়ে চরম বেকায়দায় পড়ছেন তারা ।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা চাল (বুলেট) প্রতিকেজি ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫টাকা, শুকনা মরিচ ৩৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৭০টাকা, জিরা ৪শ টাকা থেকে বেড়ে ৫শ টাকা, ডিম প্রতিপিচ ৯টাকা থেকে বেড়ে ১২ টাকা হয়েছে।
কাঁচা মরিচ কেজি ২৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, মুসুড়ি ১৩০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, খাসির মাংস ৯শ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৯০টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা সোহেল হোসেন জানান, কাঁচা বাজারের কোন তরকারীর দাম কেজি প্রতি ৪০/৫০ টাকার নিচে নেই। যার ফলে তার মত অল্প আয়ের লোকদের খুবই সমস্যা হচ্ছে।
বাসাবাটি এলাকার মোর্শেদা বেগম জানান, বর্তমানে সাধারন মানুষ বাজার করতে গিয়ে অল্প কিছু কিনেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। এতে করে সংসার চালাতে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সাধারন মানুষ অতিমাত্রায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়বে।
ক্ষোভের সাথে শহরের বাজারের মুদি মাল কিনতে আসা মোজাম শেখ জানান, আয় এক টাকাও বাড়েনি অথচ বাজারে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বাড়ছে। খুবই খারাপ অবস্থা। একেবারে নাভিশ্বাস উঠে গেছে।
সবজি বাজারে গেলে দোকানীরা বলেন, গড়ে ৪০/৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নাই। উচ্চ মূল্যে তারা কাচা তরকারী কিনছেন তাই তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারী বাজারে দাম বৃদ্ধি হওয়ায় খুচরা বাজারেও বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাগেরহাট শহরের কাঁচাবাজারের দোকানী ইউনুচ আলী জানান, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রিও অনেক কমে গেছে। মানুষ দাম শুনে শুনেই চলে যাচ্ছে। ফলে বেচাবিক্রিতে একেবারেই ভাটা পড়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের জেলা বাজার কর্মকর্তা মোঃ সুজাত হোসেন খান জানান, বাগেরহাটে নিয়মিত বাজার মনিটারিং কর হয়। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই কমপক্ষে ২টি করে মোবাইল কোর্ট করা হচ্ছে। কেউ কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ