পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গণমাধ্যমে মিথ্যা, বানোয়াট এবং মানহানিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে হাবের সভাপতি ও হজ এজেন্সি মেগাটপ ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনাল লিঃ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ইব্রাহিম বাহারের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে ১শ’ কোটি টাকার ক্ষতি পূরণের মামলা দায়ের করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় নিয়োগকৃত আইটি প্রতিষ্ঠান বিজনেস অটোমেশন লি। বিজনেস অটোমেশনের পক্ষে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও জাহিদুল হাসান মিতুল। গত ৩০ অক্টোবর ঢাকার একটি যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হলে বিবাদীর বিরুদ্ধে আদালত সমন জারির আদেশ দেন এবং আদালত আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে বিবাদীর উপস্থিতির জন্য দিন ধার্য করে দেন।
বাদীর অভিযোগ হাবের সভাপতি মো: ইব্রাহীম বাহার গত ৬ অক্টোবর ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে সম্প্রচারিত সংবাদে “নিবন্ধন ছাড়াই হজে গিয়েছিল ৯৮১ বাংলাদেশী হাজী জালিয়াতি” শিরোনামে প্রচারিত প্রতিবেদনে বিজনেস অটোমেশন এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জড়িয়ে নানা মানহানিকর, মিথ্যা, বানোয়াট এবং বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে বিবাদীর এরূপ বক্তব্যের কারণে বাদী প্রতিষ্ঠানের সুনাম জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষুণœ হয়েছে এবং জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাদী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মামলার আরজিতে হজযাত্রী নিবন্ধনের বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরা হয়। বাদী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ডিজিটাল হজ ব্যবস্থাপনার সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলে হজ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়েছে। বেসরকারি হজ ব্যবস্থাপনায় ভিসা লজমেন্ট এবং ভিসা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে আইটি প্রতিষ্ঠানের কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকার পরও বিবাদী মো: ইব্রাহীম বাহার ২০১৫ সালে ওমরাহর নামে সউদী আরবে মানব পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। তিনি বিজনেস অটোমেশনের দীর্ঘদিনের সুনাম ক্ষুণœ করার হীনমানসে এবং এ প্রতিষ্ঠানকে হজ ব্যবস্থাপনার কাজ হতে সরানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা এবং মানহানিকর বক্তব্য প্রচার করেছেন। বিবাদী ই-হজ সিস্টেম কে প্রশ্নবিদ্ধ করে ডিজিটাল হজ ব্যবস্থাপনার মতো একটি আধুনিক ও গতিশীল সরকারি উদ্যোগকে ভ-ুল করার অসৎ উদ্দেশ্যে এবং কোটারি স্বার্থ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্যই মনগড়া ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদান করেছেন বলে বাদীর অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। বিবাদী কথিত ৭৫১ জন আদৌ হজ ভিসা নিয়েছেন কীনা বা সউদী আরবে গমন করেছেন কীনা, তা ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটি তদন্ত করে দেখছে। বাদী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন তানজিব আলম এন্ড এসোসিয়েটসের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।