পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শোক ও শ্রদ্ধায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেছে পুরো জাতি। গায়ে কালো পোষাক, কালো ব্যাজ, সবার চোখে মুখে ছিল শোকের ছায়া। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে সারাদেশের মানুষ। ইতিহাসের এ কালো দিনে শোকার্ত জাতি বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে তার স্বপ্ন পূরণের জন্য দৃঢ় শপথ নিয়েছেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি পালনে মসজিদে মসজিদে দোয়া, মিলাদ ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ করে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো।
জাতীয় শোক দিবস ও ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল ভোর সাড়ে ৬টায় ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এসময় সশস্ত্র বাহিনীর গার্ড অব ওনার প্রদানসহ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয় বার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা জানানো শেষে বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে সর্বসাধারণ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে গিয়েও ১৫ আগস্টের শহীদদের কবরে ফুলের পাঁপড়ি বিছিয়ে ফাতেহা পাঠ করেন এবং সেখানে মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগের নেতাকর্মীরাও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। এছাড়া, জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। অন্যদিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এসময় করপোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর বাইরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে দেখা গেছে।
টুঙ্গিপাড়ায় শ্রদ্ধা নিবেদন
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। ঢাকা থেকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে সকাল সাড়ে ১১টায় টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর মাজারে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকষ দল সেখানে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে এবং এ সময় বিউগলে করুন সুর বেজে ওঠে।
প্রধানমন্ত্রী এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও ’৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে জাতির পিতার সমাধিতে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন। এছাড়াও জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী এরপর দলীয় সভাপতি হিসেবে দলের সিনিয়র সদস্যদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে জাতির পিতার সমাধিতে আরেকটি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দও সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মন্ত্রিসভার সদস্য এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জাতির পিতার সমাধি সৌধ প্রাঙ্গনে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের সংগ্রাম করছেন প্রধানমন্ত্রী- ওবায়দুল কাদের : বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের সমাধীতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরাধিকার হিসেবে তার স্বপ্ন পুরণ করার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্বাধীনতা এবং মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ যুগ যুগ ধরে এদেশের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক- সোহেল তাজ : বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় চার নেতার অন্যতম, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক। আমি আওয়ামী লীগে ছিলাম, আছি ও থাকব।
বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। রাজনীতিতে ফিরছেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, আসলে আমি তো রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার পিতা শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমার মা ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। আমাদের রক্তের ভেতরে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগে ছিলাম, আছি এবং থাকব। বরাবরই বলে এসেছি, আমাকে যদি প্রয়োজন হয়, আমার যদি ডাক পড়ে, আমি সাড়া দেব। আমি আবার রাজপথে থাকব। ২০০১ সালে বিএনপি জামাত-জোট সরকারের সময় যেমন ছিলাম, ঠিক সেভাবেই থাকব। আমি সে অবস্থানেই আছি।
এর আগে সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং তার মা বেগম জোহরা তাজউদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন ও ফুল ছিটিয়ে দেন।
খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি- মেয়র আতিক: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন, খুনিরা সেদিন ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলে সব শেষ হয়ে যাবে। তারা জানে না- বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বনানী কবরস্থানে তিনি আরো বলেন, কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে উল্লেখ করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বিদেশে পলাতক খুনিরা ছাড়াও যারা ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস্যভাবে হত্যার পেছনের কুশিলব, তাদেরও আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।
দুঃস্থদের খাবার বিতরণ ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের : ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু র উদ্যোগে কুরআন খতম, দোয়া এবং ৫ শতাধিক দুঃস্থ অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলার পাড় দোয়া মাহফিল ও দুঃস্থ অসহায় মানুষের মাঝে এ খাবার বিতরণ করা হয়।
খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা। আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি হারুনুর রশিদ, আলী আকবর বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, উপ ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহজালাল রিপন, ৪০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি তিতাস, ৪১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জুয়েল, ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান উদ্দিন মিয়া, শফিকুল ইসলাম জুয়েলসহ স্থানীয় যুবলীগের নেতারা।
পাঁচ হাজার মানুষকে খাবার দিল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র : পাঁচ হাজার মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। এর আগে বঙ্গবন্ধুসহ সেদিনের শহীদদের স্মরণ করছে ক্লাবটি। ক্লাবের চেয়ারম্যান ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর এর উদ্যোগে কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল এবং গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মিশেল ব্যাচলেটের শ্রদ্ধা : বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল বাচলেট। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে শ্রদ্ধা জানান মিশেল বাচলেট। একই সঙ্গে তিনি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। মিশেল বাচেলেতকে জাদুঘর ঘুরিয়ে দেখান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে ছাত্রলীগের ধাক্কাধাক্কি : ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি করেছে ছাত্রলীগ। সকাল ৯টার কিছুক্ষণ আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যায় ছাত্রলীগ। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ছাত্রলীগ। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। ছাত্রলীগ নেতাদের ধাক্কাধাক্কির কারণে তাদের পেছনের সারিতে থাকা অন্য সংগঠনের ব্যানারে আসা মানুষজন পড়েন বিপাকে। ধাক্কাধাক্কিতে কয়েকজন ছিটকে প্যান্ডেলের বাইরে পড়ে যান। এ সময় বারবার মাইকে ছাত্রলীগের সভাপতি জয়, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিতের নাম ধরে দ্রুত ফুল দিয়ে স্থান ত্যাগ করতে বলা হয়। মাইকে থাকা স্বেচ্ছাসেবক কমিটিতে থাকা নেতারা ‘ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন, তাই দয়া করে তোমরা বিশৃঙ্খলা করবে না’, ‘হয় ফুল দাও, নয়তো স্থান ত্যাগ কর’ ইত্যাদি বললেও ছাত্রলীগ নেতারা তাতে কর্ণপাত করেননি।
জমিয়াতুল মোদারের্ছীন বৃহত্তর ফরিদপুর দক্ষিণাঞ্চল ও ইকামাতেদ্বীন মডেল কামিল (এম.এ)মাদরাসা ভাঙ্গা ঃ জমিয়াতুল মোদারের্ছীন বৃহত্তর ফরিদপুর দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ বঙ্গের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি বিদ্যাপীঠ ইকামাতেদ্বীন মডেল কামিল (এম.এ) মাদরাসায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ও ইকামাতেদ্বীন মডেল কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল হযরত মাওলানা আবু ইউছুফ মৃধা। অধ্যাপক মো. তরিকুল্লাহ’র সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন, মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মো . আসাদুজ্জামান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো. আইয়ূব আলী ফকির, সহকারী অধ্যাপক কামাল হোসেন মতিউর রহমান। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাদরাসার প্রিন্সিপাল মো. আবু ইউছুফ মৃধা। দোয়া ও আলোচনা সভার শুরুতে খতমে কোরআন ও বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।
আইইবিতে শোক দিবস পালন : রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এর সদর দফতর, ঢাকা কেন্দ্র এবং ইআরসির যৌথ উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী নূরুল হুদার নেতৃত্বে ধানমণ্ডি ৩২ নাম্বারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে আইইবি চত্ত্বরে গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ শেষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়: প্রবাসী কল্যাণ ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি এবং সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম, বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহিদুল হক পুস্পস্তবক অর্পণ করেছেন। পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর কাকরাইল, পরিবাগ ও ইস্কাটন এলাকায় গরিব ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল : ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ১০০ জন কোরআনে হাফেজের মাধ্যমে ১০০ বার কোরআন খতম সম্পন্ন করা হয়েছে। এরপর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. মুশফিকুর রহমান। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা রুহুল আমীন।
বাদ যোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয মসজিদে আওয়ামী লীগ ঢাকা দক্ষিণের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে বাদ যোহর সারাদেশের মসজিদসমূহে জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আগারগাঁওস্থ প্রধান কার্যালয়, বায়তুল মোকাররম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইসলামিক মিশনের ৫০ টি শাখায় বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।