বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় রাসেল সিকদার নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে তারই চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
ধর্ষক রাসেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত ওই ছাত্রীর নাম ফারিহা খানম (১১)। সে স্থানীয় একটি হাইস্কুলের লেখাপড়া করতো। সে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের ইচাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মোক্তার হোসেনের মেয়ে ছিল। গ্রেফতার হওয়া রাসেলের বাবার নাম মো. মানোয়ার সিকদার। তারাও একই গ্রামের বাসিন্দা। গতকাল সোমবার ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কর গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গত রোববার রাসেল তার চাচার দোকান থেকে বাকিতে কিছু মালামাল কেনেন। সন্ধ্যার দিকে রাসেল চাচার বাড়ি গিয়ে ফারিহাকে বাকির টাকা নিতে তাদের ঘরে যেতে বলেন। ভাইয়ের কথা শুনে ফারিহা তাদের ঘরে গিয়ে রাসেল তাকে ধর্ষণ করেন। এ কথা যাতে ভুক্তভোগী কাউকে বলতে না পারে, সে জন্য তার গলা টিপে ও ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে জানা যায়। এদিকে ফারিহাকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এক পর্যায়ে রাসেলদের গোসলখানায় ফারিহাকে অচেতন অবস্থায় পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা ফারিহাকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানায় খবর দেওয়া হলে সদস্যরা গিয়ে রাসেলকে আটক করে।
প্রতিবেশীরা জানান, রাসেল উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির। পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন তিনি। সেটি টেকেনি। তার বাবা-মা ঢাকায় থাকেন। রাসেল ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কর বলেন, এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যার বিষয়টি প্রতীয়মান হয়। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন এলে হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ জানা যাবে বলেও তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।