রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার কৃষকদের ঘরে ঘরে। খরচে দু:শ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কপালে। শেরপুরের জলাশয়গুলোতে বর্ষার পানি সংকটের রেশ না কাটতেই তেলের দাম বৃদ্ধিতে সেচ খরচ বাড়বে। এমন চিন্তায় দিশেহারা কৃষক।
শতবর্ষী কৃষক ডা. আব্দুল বারী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা, আলহাজ শরীফ উদ্দিন সরকার ও সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল বলেন- মহাসংকটে আছি। খেতে নেই পানি। শ্রমিক সংকট। মজুরি বৃদ্ধি। সার-কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি। ডিজেলের দামও বাড়লো। তেলের দাম বাড়ায় বাড়তি খরচ কৃষিসহ সর্বক্ষেত্রে। কি করবো ভেবে পাচ্ছি না পথ। এভাবে চললে মাঠে মারা যাব। হঠাৎ করে তেলের মূল্য বাড়িয়েছেন সরকার। প্রতি লিটার ডিজেল-কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রল ১৩০ টাকা।
তেলের দাম বাড়ার ঘোষণা থেকেই শেরপুর জেলা ও উপজেলাগুলোতে প্রভাব পড়েছে। ফসল ফলাতে সংকটের কথাই কৃষকরা বলেন, কৃষি নির্ভর শেরপুর জেলায় ফসল উৎপাদনে তেলের প্রয়োজন। ডিজেল চালিত পাওয়ার টিলারে চাষ দিতে হয়। শ্যালো মেশিনে একাধিকবার সেচে ফলাতে হয় ফসল। উৎপাদিত ফসল বাজারজাতে ভাড়াও বাড়বে। তেলে চালিত পরিবহনে দ্বিগণ ভাড়া নেবে। জ্বালানীর দাম বৃদ্ধিতে কৃষি সংশ্লিষ্ট সব খাতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে। বাড়তি খরচে উৎপাদনের পর ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা যাবে কিনা এ নিয়েও রয়েছে দু:শ্চিন্তা। ফসল উঠার পর উৎপাদন খরচের চেয়ে কমে বিক্রি করতে হয়।
কৃষকরা বলেন, পাওয়ার টিলারে একবিঘা জমি চাষ করতো ২১০০ টাকায়। এখন ৩ হাজার টাকা। প্রতিবিঘায় শ্যালো মেশিনে একবার সেচ দিতে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা খরচ। কৃষিপণ্য বাজারজাতে পরিবহনেও বাড়তি খরচ গুনতে হবে।
তারা জানান, নিচু জমিতে বীজ বোপনের ধুম পড়লেও উজানে উঁচু জমিতে রোপনে সেচের বিকল্প নেই। অন্যান্য বছর বিনা সেচেই বোপন করতেন। পানি সংকটে বোপন করতে পারছেন না। ধান বীজ আগেই রোপনে বীজতলা তৈরি করেছেন। পাওয়ারটিলার বা গরু-মহিষের হালে চাষ, সেচে চারা রোপনে বেশি হচ্ছে। এতে দ্বিগুণ খরচ ও কষ্ট হচ্ছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ুন দিলদার বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় আমন চাষে সম্পূরক সেচ প্রয়োজন হতে পারে। এ পর্যন্ত সেচ দিতে হয়েছে এমন তথ্য জানা নেই। তেলের দাম বৃদ্ধিতে জেলা সদর বা অন্য উপজেলায় উঁচু জমিতে সেচ দিতে হলে উৎপাদন খরচ বাড়বে। বাড়বে পরিবহন খরচ। ডিজেলের দাম বাড়ায় প্রভাব পড়বে কৃষকদের উপর। চলতি মওসুমে আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ১৫ হাজার ২শ’ ৩৭ হেক্টর। হাইব্রিড ৩ হাজার ৮শ’ ৬৫ হেক্টর, উফশি ৭ হাজার ৮শ’ ৫০ ও স্থানীয় ৩ হাজার ৫শ’ ২২ হেক্টর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ বলেন- কৃষি বিভাগের নিয়মিত তদারকীতে এখানো সমস্যা নেই। মাঝে মধ্যে সামান্য বৃষ্টি হচ্ছে তাতেই কৃষকরা আমন রোপণ করছেন। তবে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে কৃষকদের উত্তম কৃষি চর্চার পরামর্শ প্রদান করছি। যাতে উৎপাদন বৃদ্ধির অতিরিক্ত খরচের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।