Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বেচ্ছাশ্রমে শিবসার ভাঙা বাঁধ মেরামত, ৩৩ কিলোমিটার এখনো ঝুঁকিতে

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০২২, ৬:০৬ পিএম

বৈরী আবহাওয়া ও শিবসা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করেছে এলাকাবাসী। আজ সোমবার (১৫ আগস্ট) উপজেলা প্রশাসনের তত্বাবধায়ন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে পাউবোর সরবরাহকৃত সরঞ্জামাদি দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটির প্রাথমিক সংস্কার করেছে। এদিকে জোয়ারের পানির চাপে উপজেলার মাহমুদকাটি ও রামনাথপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হলেও এখন পর্যন্ত সেখানকার বাঁধ মেরামতে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এর আগে রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে বৈরী আবহাওয়ায় জোয়ারের প্রবল পানির চাপে শিবসার সোলাদানা ইউনিয়নের পাউবোর ২৩নং পোল্ডারের বয়ারঝাঁপা এলাকার ভাঙ্গাহাড়িয়া নামক স্থানে প্রায় ৩০ ফুট ওয়াপদার বাঁধ ভেঙ্গে ও কপোতাক্ষের মাহমুদকাটি ও রামনাথপুরে উপচে পড়া পানিতে লোকালয়ে পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এসময় ভেসে যায় ছোট-বড় বহু মৎস্য ঘের। পানির তোড়ে অনেক বসতঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
সোলাদানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী জানান, রোববার শিবসা নদীর তীরবর্তী তার ইউনিয়নের বয়ারঝাঁপার ভাঙ্গাহাড়িয়া নামক স্থানে ওয়াপদার দূর্বল বেড়িবাধটি ভেঙে গিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। সোমবার সকাল থেকে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়নে তার নেতৃত্বে স্থানীয় এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাধটির প্রাথমিকভাবে মেরামত করেছেন। পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা অফিসার ইনচার্জসহ পাউবো কর্তৃপক্ষ ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান তিনি। হরিঢালী ইউনিয়নের
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রাজু হাওলাদার জানান, পাইকগাছা উপজেলার ৬টি পোল্ডারে মোট ২৫০ কিলোমিটারবেড়িবাঁধ রয়েছে। তার মধ্যে মোট ৩৩ কিলোমিটার বাঁধ অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ওয়াপদার বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার খবরে পেয়ে তিনিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের তত্বাবধায়নে স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তাদের সরবরাহকৃত সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে বাঁধটি প্রাথমিকভাবে মেরামত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ