বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও দুইজন।
রোববার (১৪ আগস্ট) সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ ম-লের আদালতে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়র শেখ মুজিবর রহমানসহ দুইজন সাক্ষ্য দেন।
এসময় আদালতের কাঠগড়ায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪০ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন।
মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৯ আগস্ট।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস.এম মুনীর, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন মীর্জা, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. আব্দুল বারি ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু।
অপরদিকে, আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী অ্যাড. আমিনুল ইসলাম, অ্যাড. শাহানারা আক্তার বকুল, অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী, অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু ও অ্যাড. কামরুজ্জামান ভুট্টোসহ আরও অনেকে।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ধর্ষিত নারীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের একডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির।
এছাড়া গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।