পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে ইউনিয়ন পরিষদের, কৃষি কর্মকর্তা, তহশিলদার ও ইউপি সচিবদের দুনীর্তি বন্ধ করতে হবে। তহশিলদার ও ইউপি সচিবরা মোস্ট পাওয়ারফুল অ্যান্ড করাপটেড। গতকাল নগরীর লেকশোর হোটেলে ‘জাতীয় উন্নয়নে অঙ্গীকার : শিক্ষা, মানসম্মত কর্মসংস্থান, জেন্ডার সমতা শীর্ষক এক নাগরিক সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন।
নাগরিক সম্মেলনে অংশ নেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, স্থানীয় শাসন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির প্রমুখ। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন। সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জাতীয় পর্যায় থেকে এদিকে নজর দিতে হবে। এরা অনেক বেশি ক্ষমতাবান, যার কারণে প্রান্তিক মানুষজন নায্যতা পায় না। এরা প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে কাজ করে। অথচ দেখবেন এই তহশিলদার ও ইউপি সদস্য আশপাশে ভালো পরিবেশে থাকে। সকালে ভালো যানবাহনে চড়ে অফিসে যায়।
এম এ মান্নান বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক সংকট চলছে। বিশ্ব এখন টালমাটাল অবস্থায়। সেই ঢেউ কিন্তু আমাদের তরীতেও লেগেছে। আমাদের সরকারপ্রধান সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করছেন। তাই আমরা ব্যয় সংকোচন করছি, মৃতব্যয়িতা অবলম্বন করছি। আওয়ামী লীগ সরকার ইশতেহার বাস্তবায়ন কাজ শক্তিশালী করছে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার ইশতেহার বাস্তবায়ন করছে। তবে গ্রাম ও শহরের মানুষের চাওয়া-পাওয়া এক নয়। গ্রামের মানুষ নানা ভাতার কার্ড, পানি, স্যানিটেশন, সেতু ও সড়ক চায়। উন্নয়নের জন্য দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ প্রয়োজন, এজন্য শোভন রাজনীতি প্রয়োজন আছে কেবল শোভন কর্মসংস্থান নয়। দেশের ভোটাররা স্থিতিশীল পরিবেশ, কর্মসংস্থান চায়, এ সরকার তাই করছে। তিনি বলেন, আমি কিন্তু পিছিয়ে পড়া পরিবারের মানুষ। সুতরাং তাদের দুঃখ-কষ্ট আমি বুঝি। তাই সময় পেলে নাড়ির টানে গ্রামে যাই। গ্রামের মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করি। আওয়ামী লীগের কিছু জাতীয় ইশতেহার থাকে, আমরা যারা ভোটে দাঁড়াই তাদেরও কিছু ইশতেহার থাকে। গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন অবস্থা দেখেই আমরা নিজস্ব কিছু ইশতেহার দিয়ে থাকি।
অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক ৩ দশমিক ১২ ধারায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাঁচটি অঙ্গীকারের মধ্যে অন্যতম ছিল শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র তৈরি করা। তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের দিবাযত্ন কেন্দ্র গড়ে তোলা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই বিষয়ে উৎসাহিত করা। প্রবন্ধে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৭৭ শতাংশ কর্মস্থলে এখনো নারী কর্মীদের জন্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র নেই। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৫০টি শিশু যত্নকেন্দ্র স্থাপন করেছে এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ৩৭১টি শিশু কক্ষ স্থাপন করেছে।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাংলাদেশে প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলো প্রথাগতভাবে নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকার যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এটিকে দল ও ভোটারদের মধ্যে একটি লিখিত চুক্তি বলে ধরে নেওয়া যায়। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮ প্রকাশ করে। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সুস্পষ্ট কর্মসূচি নিয়ে গত তিন বছর ধরে এই অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। সিপিডি গত দুই বছরে এ বিষয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। সারাদেশে ১৫টি জেলায় আঞ্চলিক এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ওইসব সংলাপে যেসব বিষয় এসেছে তা হলো- বেশিরভাগ মানুষ উল্লেখ করেন তারা নিজ দাবি সরাসরি বা লিখিত আকারে প্রার্থীদের কাছে উপস্থাপন করতে পারেননি। তাদের অত্যন্ত সীমিত আকারে এসব সমস্যা উপস্থাপন করার অনুমতি দেয়া হলেও চূড়ান্ত ইশতেহারে তা প্রতিফলিত হয়নি। অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই ইশতেহারে উল্লিখিত লক্ষ্যগুলো সম্পর্কে অবগত নয়। অনেকক্ষেত্রেই ইশতেহার বলতে তারা জনপ্রতিনিধিদের মৌখিক অঙ্গীকারকেই বুঝে থাকেন।
সিপিডির প্রবন্ধ উপস্থাপনায় বলা হয়েছে, প্রতিশ্রুতির ইশতেহার এখনও বাস্তবায়ন হয়নি এমন বিষয়গুলো হলো- ২০২০ সাল নাগাদ উচ্চ শিক্ষায় নারীপুরুষ শিক্ষার্থীর অনুপাত বর্তমানের ৭০ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত করা। প্রশাসন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে অধিকসংখ্যক নারী নিয়োগের নীতি আরও জোরালোভাবে অনুসরণ করা। নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে তাদের জন্য আলাদা ব্যাংকিং সুবিধা, ঋণ সুবিধা, কারিগরি সুবিধা, সুপারিশসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা। জয়িতা ফাউন্ডেশনের সম্প্রসারণের মাধ্যমে নারীদের সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ আরও জোরালোভাবে চালিয়ে নেয়া এবং নারী-পুরুষের সমান মজুরির নিশ্চয়তা, গ্রামীণ নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও সব ক্ষেত্রে নারীর কর্ম পরিবেশ উন্নয়ন করা। তবে এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি কিংবা বাস্তবায়নের গতি মন্থর বলে প্রবন্ধ উপস্থাপনায় উল্লেখ করা হয়।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।