বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গত চার দশকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১২০টির মতো পাহাড় বিলুপ্ত হয়েছে। ৪০ বছর আগেও পাহাড় ছিল ২০০টি, যার ৬০ শতাংশ ইতিমধ্যে নিধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে চট্টগ্রামের ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের যৌথ উদ্যোগে জঙ্গল সলিমপুরসহ সকল পাহাড় সংরক্ষণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ এবং নদী রক্ষার দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ তথ্য তুলে ধরেন। তারা বলেন, স্বাধীনতার পর ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৮৮টি পাহাড়ের পুরোটাই বিলুপ্ত হয়েছে। একই সময়ে আংশিক কাটা হয়েছে ৯৫টি।
এরপরের ১২ বছরে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পাহাড় নিধন। দুটি গবেষণা প্রবন্ধের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমান। তিনি বলেন, ১৯৭৬ সালে নগরী পাঁচ থানা এলাকায় মোট পাহাড় ছিল ৩২ দশমিক ৩৭ বর্গকিলোমিটার। ২০০৮ সালে তা কমে হয় ১৪ দশমিক ২ বর্গকিলোমিটার। এ সময়ে ১৮ দশমিক ৩৪৪ বর্গকিলোমিটার পাহাড় কাটা হয়। এটা মোট পাহাড়ের প্রায় ৫৭ শতাংশ।
নগরীর বায়েজিদ, খুলশী, পাঁচলাইশ, কোতোয়ালি ও পাহাড়তলী থানা এলাকায় এসব পাহাড় কাটা হয়। সবচেয়ে বেশি ৭৪ শতাংশ কাটা পড়ে পাঁচলাইশে। সিডিএ পাহাড় কেটে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বাইপাস সড়ক নির্মাণ করেছে। এই সড়ক নির্মাণের জন্য ১৫টি পাহাড় কাটার অনুমতি নেয় তারা। পাহাড়, নদী, সমুদ্র পরিবেষ্টিত এবং প্রাচ্যের রাণী খ্যাত বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সেই জৌলুস এখন ধংসের দ্বারপ্রান্তে।
এসময় বক্তব্য দেন চুয়েটের সাবেক ভিসি প্রফেসর মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সভাপতি চৌধুরী ফরিদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।