Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পাবনায় স্বচ্ছলরা নিচ্ছেন ১০ টাকার চাল চাল যাচ্ছে কালোবাজারে

| প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পাবনা জেলা সংবাদদাতা : পাবনায় ১০ টাকা কেজি দরের চাল কালো বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। সূত্র মতে, জেলার আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নে ১ হাজার ২০১ জন সুফলভোগীর মধ্যে প্রায়  ৪ শত জনই স্বচ্ছল বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে আবার  ৬০ জনের রয়েছে নিজস্ব পাকা দালান বাড়ী-ঘর। এ ছাড়া আরো ২৫/২৬ জনের রয়েছে ৫ থেকে ৬ বিঘা করে জমি। তারা বর্গাদার দিয়ে জমি। এ ছাড়া ঐ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের তালিকাভুক্ত ৭০ টি পরিবারই ভূয়া। এ সব নামে কোন ব্যক্তির কোন অস্তিত্ব  নেই বলে জানা গেছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মিয়া এবং কয়েকজন ডিলার  অস্তিত্বহীন মানুষের নামে বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করে ভাগ বাটোয়ারা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ ও ২ নং ওয়ার্ড ছাড়া অন্য ৭টি ওয়ার্ডে ১০ টাকা দরের চাল নিয়ে চলছে কারসাজি।
অপর দিকে এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১২ জন ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে ।এদের অধিকাংশ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী। এরা প্রকৃত খাদ্য ব্যবসায়ী নন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
মাজপাড়া ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ডে মোটামুটি প্রকৃত সুফল ভোগীদের তালিকা করা হয়েছে। ৩ নং ওয়ার্ডের রোকনপুর গ্রামের নবির উদ্দিনের পুত্র রবিউল ইসলাম, মৃত রওশন ম-লের পুত্র স্বপন ম-ল, রাব্বান ম-ল, আব্দুর রাজ্জাক, হেলাল প্রামানিক, মোশারোফ বিশ্বাস, আব্দুল হাই প্রামানিকসহ অন্তত ৪০ জন পাকা বাড়ি, ঘরের এবং জমির মালিক ও স্বচ্ছল। এছাড়া ৪ নং ওয়ার্ডের  প্রায়  ৯০ জন স্বচ্ছল এবং তাদের পাকা বাড়ি ঘর আছে। একই অবস্থা ৫, ৬ , ৭ , ৮ এবং ৯ নং ওয়ার্ডের অবস্থা। ৫ নং ওয়ার্ডে ৭০ জনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তারা সবাই ভূয়া। বাস্তবে এদের কোন অস্তিত্ব নেই। অথচ এদের নামে নিয়মিত ১০ টাকা কেজির চাল উত্তোলন করা হচ্ছে।
পারখিদিরপুর গ্রামের মৃত হাসেন আলীর পুত্র মাজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক জিন্নাত আলী শেখ সাংবাদিকদের জানান, সরকার দু:স্থদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি করছে। অথচ মাজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মিয়া ভূয়া লোকের নাম তালিকাভুক্ত করে এ সব চাল উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করায় গরিব-দু:স্থরা সরকারের দেওয়া  সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর মিয়া তার বিরুদ্ধে  অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এখনকার গরীব মানুষও দালান বাড়িতে বসবাস করে থাকে। তাই পাকা বাড়ি আছে এমন কিছু লোক এই সুবিধা পেয়ে থাকতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ