বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, আওয়ামীলীগ নিশীরাতে ভোট চুরি করে ক্ষমতা দখল করে দেশে ব্যাপক লুটপাট চালিয়ে, দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, যে কারনে রিজার্ভ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর তারা নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে জনগনের উপর বুঝা চাপিয়ে দিয়েছে। যার প্রভাব জনগনের উপর পড়ছে। দেশের ইতিহাসের একসাথে এত পরিমান তেলের দাম কখনে বাড়ে নি। এই দাম বৃদ্ধির প্রভাব এখন প্রতিটি সেক্টরে পড়েছে। পরিবহনের ভাড়া বেড়েছে, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। শুধু বাড়েনি মানুষের আয়। দেশের মানুষ আজ খাবার পাচ্ছেনা, অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছে। আর নিশিরাতের মন্ত্রীরা বলেন, 'দ্রব্যমূল্য বাড়লেও কেউ না খেয়ে মারা যায়নি!' তার মানে আওয়ামীলীগ জনগনকে ভাতে মারতে চায়। এই সুযোগ তারা কোন দিনও পাবে না। আওয়ামীলীগের দিন ফুরিয়ে আসছে, সময় আর বেশী বাকি নাই। এই সরকার অচিরেই ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি জনগনের সরকার প্রতিষ্টা হবে ইনশাআল্লাহ।
আজ শুক্রবার বিকেলে নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারী মাঠে জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষি তিনি।
সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকীর সভাপতিত্বে, সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বিনা ভোটের মন্ত্রীরা জনগনকে নিয়ে তামাশা করছে। তারা এদেশের মানুষের মুখের ভাষা বুঝে না। তারা গণতন্ত্র,বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। এখন জনগনকে ক্ষুধা দিয়ে মারতে চায়। এই অন্যায় অত্যাচার আর সহ্য করা যায়না। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই নিশিরাতের সরকার বিদায় করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন, মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক হুমায়ুন কবির শাহীন, ফরহাদ চৌধুরী শামীম, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জিয়াউল গনি আরেফিন জিল্লুর, এডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব, সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, রোকশানা বেগম শাহনাজ, নজিবুর রহমান নজিব, সালেহ আহমদ খসরু, মহানগর বিএনপির সদস্য সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, মুকুল আহমদ মোর্শেদ , আক্তার রশিদ চৌধুরী, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, আফজল উদ্দিন, শামীম মজুমদার, মতিউল বারী খোরশেদ, নাজমুল ইসলাম।
অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে- জেলা যুবদলের আহবায়ক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, সদস্য সচিব মকসুদ আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, সদস্য সচিব আজিজুল হোসেন আজিজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব দেওয়ান জাকির হোসেন খান, মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যেতি এষ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন দিনার, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে আহসান রাব্বী, মহানগর মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিগার সুলতানা ডেইজি, মহানগর জাসাসের সদস্য সচিব রাসেল আহমদ রানা সহ নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপি-র আহবায়ক বৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।