Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশ

নবযাত্রা উদ্বোধনকালে দুর্যোগমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খুলনা ব্যুরো : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বলেছেন, উপকূলীয় এলাকার মানুষের দুর্ভাগ্যে একটি দুর্যোগ থেকে পুনরুদ্ধারের আগেই আরেকটি দুর্যোগের মুখোমুখী হন। ফলে তাদের দুর্যোগ সহনশীলতার মাত্রা আরও হ্রাস পায়। গত এক দশকে সিডর, আইলা, মহাসেন এর মত ঘূর্ণিঝড় এই অঞ্চলে ব্যাপক প্রাণহানী ও অর্থনৈতিক ক্ষতি ঘটিয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারি উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের পাশাপাশি নবযাত্রা কর্মসূচি এই অঞ্চলের মানুষের দুর্যোগ সহনশীলতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশ। এ ক্ষতি মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণে বিশ্ববাসীর কাছে আবেদন জানান তিনি। গতকাল বুধবার খুলনা মহানগরীর অভিজাত হোটেলে জেলার দাকোপ ও কয়রা এবং সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার উপকূলে ৫৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে নবযাত্রা কর্মসূচি উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খুলনা জেলার দাকোপ ও কয়রা এবং সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নের ৭৪০টি গ্রামের দুই লাখ পরিবারকে স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি খাতে সহযোগিতা, কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ, খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি ও দুর্যোগ সহনশীলতার জন্য নবযাত্রা নামে একটি কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।  পাঁচ বছর মেয়াদী এই কর্মসূচিতে ব্যয় হবে ৫৯০ কোটি টাকা।
ওয়ার্ল্ড ভিশনের ন্যাশনাল ডিরেক্টর ফ্রেড উইটেভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: শাহ কামাল, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো: আবদুস সামাদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন ইউএসএইড মিশনের পরিচালক জেনিনা মেরুজেলস্কি, ওয়ার্ল্ড  ভিশন ইউএসএর ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেড হফম্যান, নবযাত্রা কর্মসূচির চিফ অফ পার্টি রাকেশ কাটাল।
মন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭০ এর ঘূর্ণিঝড়ের কথা এখনো এ এলাকার বয়সী মানুষেরা ভুলে নাই। সে ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১০ লাখ লোক মারা গিয়েছিল। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লক্ষাধিক লোক মারা গিয়েছিল। এগুলো হয়েছিল আমাদের প্রস্তুতিতে ঘাটতি থাকার কারণে। আমরা সে অবস্থা থেকে উত্তোরণ ঘটিয়েছি। আমরা এখন যে কোনো ঘূর্ণিঝড়ে জনগণকে ৫দিন পূর্বেই সতর্কবার্তা দিতে পারছি। উপকূলীয় লাখ লাখ লোককে সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে পারছি। আমাদের উপকূলীয় স্বেচ্ছাসেবকরা জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে সহযোগিতা করছে। উপকূলীয় এলাকার  জনগণের সমস্যার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান সমস্যা সুপেয় পানির অভাব। লোনা পানির কারণে তাদের কৃষিকাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
দারিদ্রতার জন্য এখনো এ এলাকার শিশুদের মাঝে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার অধিক। তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। এর জন্য স্কুল ফিডিং কার্যক্রমকে প্রসারিত করতে হবে। অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগীদের মধ্যে জীবনের গল্প শোনান দাকোটের কিশোরী কাংকা বৈরাগী ও পানখালীর গৃহবধূ লাইলী বেগম।











































 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ