গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা : গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্দেহভাজন এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এক সিনিয়র নার্সকে (ব্রাদার) মারধোর করেছে ডিবি পুলিশ। আহত ব্রাদারের নাম আবুল ফজল (৩০)। তাকে রাতেই ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গাজীপুর ডিবি পুলিশের এএসআই মুশফিকুর রহমান, কনস্টেবল আনোয়ার ও ফজলুকে ক্লোজড করা হয়েছে। আহত নার্স আবুল ফজল শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিপ্লোমা নার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২য়, ৩য় ও চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সম্মিলিত সমিতির সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান ও আহত ব্রাদার আবুল ফজল জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসে। এ সময় তারা রানা নামে এক সন্দেহভাজন আসামিকে খুঁজতে থাকেন। রানা কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ডিবি সদস্যরা হাসপাতালের সিনিয়র নার্স (ব্রাদার) আবুল ফজলকে হাসপাতালের বাইরে নিয়ে আনার চেষ্টা করে। আবুল ফজল বাইরে না আসতে চাইলে ডিবি সদস্যরা তাকে শার্টের কলার ধরে কিল ঘুষিসহ বেধড়ক মারধর করতে থাকেন। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও তার সহকর্মীরা এসে আবুল ফজলকে উদ্ধার করেন এবং চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ডিবি পুলিশ কর্তৃক হাসপাতালের সিনিয়র নার্স আহত হওয়ার প্রতিবাদে রাতেই হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল ও কর্মবিরতি শুরু করেন।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম, পিপিএম (বার) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি এ ঘটনায় সঙ্গে জড়িত ডিবি পুলিশের তিন সদস্যকে ক্লোজড করেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন। পরে হাসপাতালের কর্মচারী ও নার্সরা সাময়িকভাবে তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন।
এ ব্যাপারে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুস সালাম সরকার জানান, হাসপাতালের সিনিয়র নার্স আবুল ফজলকে মারধোরের ঘটনায় পুলিশ সুপার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে নার্স ও কর্মচারীরা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন।