পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার অফিস : হাজার বছরের সমৃদ্ধ মুসলিম আরাকানের মসজিদগুলোতে আজান নামাজ এখন বন্ধ হয়ে গছে। মসজিদ, মাদরাসা, খানকা ও ইসলামি স্থাপনাগুলো নির্জীব খাঁ খাঁ করছে। আল্লামা ইকবালের ভাষায় অরাকানের মসজিদগুলো এখন যেন ‘মসজিদে মুর্ছিয়াঁ খাঁ হেইক নামাজি নরেহি’। আরাকানের মসজিদগুলো মুসল্লিদের অভাবে যেন শোকগাঁথা গাইছে। ২০ হাজার বর্গমাইলের বিস্তীর্ণ মুসলিম আরকানের শতাধিক মসজিদের মিনার থেকে প্রতিদিন ভেসে আসতো আজানের সুমধুর ধ্বনী। সীমান্তের গ্রামগুলোর মসজিদ থেকে ভেসে আসা আজানের ধ্বনী শোনা যেত বাংলাদেশ সীমান্তের এপার থেকেও। সেই আজানের ধ্বনী এখন আর শোনা যায় না। সম্প্রতি আরাকানে অব্যাহত মুসলিম নির্যাতনের মুখে নামাজি মুসল্লিরা হয় মিয়ানমারের সেনা-পুলিশ ও বুডিস্ট দস্যুদের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছেন, নতুবা প্রাণ বাঁচাতে বনে-জঙ্গলে অথবা পাশর্^বর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই আজান নামাজ এখন হয় না আরাকানের মসজিদগুলোতে। ইতিহাসের এককালের সমৃদ্ধ আরাকানের শাসক ছিল রোহিঙ্গা মুসলমানেরা। এসময় মায়ু-ইরাবতী নদীর তীরে এবং বিস্তীর্ণ আরাকাঁ ইয়ামাঁ পাহাড়ের পাদদেশ ছিল রোহিঙ্গা মুসলমানদের সমৃদ্ধ আরাকান। তখন আরাকান ছিল শান্তি-সমৃদ্ধি ও ইসলামি সভ্যতার আবাসভূমি। রোহিঙ্গা মুলমানরা ছিলেন আরাকানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী। কালক্রমে ক্ষমতা হারিয়ে মিয়ানমারের সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠীর নিষ্ঠুর নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন রোহিঙ্গা মুসলমানেরা। উগ্র মিয়ানমার সরকারের সামরিকজান্তা অতীতে রোহিঙ্গা জাতিসত্তা নিধণে বিভিন্ন অজুহাতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর চালিয়েছে অসংখ্যবার নিষ্ঠুর ও কুখ্যাত যতসব অপারেশন। এতে হত্যা করা হয়েছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানকে। হত্যা, গুম-ধর্ষণ ও অসহনীয় নির্যাতনের সময় বিভিন্ন সময় আরাকান ছেড়ে পালিয়েছেন আরো লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান। এভাবে বাংলাদেশসহ বিশে^র বিভিন্ন দেশে রিফুজি হয়েছে ৩০ লাখ রোহিঙ্গা। শুধু বাংলাদেশে অবস্থান করছে পাঁচ-সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান। এই সুযোগে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের জমিজমা কেড়ে নিয়ে সেখানে রাখাইন ও মগ জনগোষ্ঠী বসতি গড়ে তোলে। হাজার বছরের আবাসভূমি আরাকানে এখন রোহিঙ্গারা সংখ্যালঘু, বহিরাগত!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।