বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং অংশে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিমসার জুনাব আলী কলেজের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনা জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কলেজের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদের শান্ত করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনান্য শিক্ষক, অভিভাবক প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মামুন মিয়া মজুমদার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারে একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। এ কথোপকথনের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়লে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে কলেজ থেকে টিসি দিয়ে বিতাড়িত সহ নানাভাবে অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রী হুমকি দেয়।
এ ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। বৃহস্পতিবার এসব ঘটনার বিচার চেয়ে অধ্যক্ষ মামুনের অপসারণ দাবি করে শিক্ষার্থীরা।
কলেজ অধ্যক্ষের যৌন হয়রানির শিকার ওই শিক্ষার্থী জানায়, 'স্যার ফেসবুক মেসেঞ্জারে আমাকে খারাপ কথা বলে, এরপর আমি ওনাকে ওনার কলেজের শিক্ষার্থী বললে উনি আমাকে এসব কথা ফাঁস করতে না করে। উনি আমাকে উপবৃত্তি দিবে বলে, কলেজে ফ্রি পড়ানো সহ নানা প্রলোভন দেখায়। উনি আমার কাছে বাজে পিক চায় এবং নিজের বাজে ছবিও আমাকে পাঠায়। এরপর উনি আমাকে বলে এসব কাউরে বললে কলেজে আমার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হালিমা খাতুন জানান, ভূক্তভোগী ছাত্রী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ছামিউল ইসলামকে প্রধান করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিটি শুনানি শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মামুন মিয়া মজুমদার জানান, কিছু লোকজন মিলে তাকে কলেজ থেকে বিতাড়িত করার জন্য একটি সাজানো ঘটনা সৃষ্টি করেছে। ওই ছাত্রীকে কোন প্রকার যৌন হয়রানি বা অশ্লীল ছবি পাঠাননি বলেও দাবি করেন কলেজ অধ্যক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।