পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা বৃদ্ধি এবং বিশ্বমানের মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। গতকাল (বুধবার) রাজধানীর বসুন্ধরায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চশিক্ষার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে তাদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি রপ্ত করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে হবে। শিক্ষার্থীদেরকে দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যারা আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে ব্যর্থ হবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কর্তৃপক্ষকে ব্যবসায়িক মনোভাব ও প্রতারণা পরিহার করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের জ্ঞান ও প্রযুক্তি আয়ত্ত্ব ও তা ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। জনগণের কল্যাণে এ জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োগ করতে হবে। মানুষর ভাগ্য পরিবর্তন এবং জাতির উন্নয়নের জন্য মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। তথ্য-প্রযুক্তি ও বিশ্বায়ন সর্বাধুনিক জ্ঞানের দুয়ার খুলে দিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে এ জ্ঞানের বাস্তবভিত্তিক প্রযোগ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ইমেরিটাস প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান। তিনি বলেন, আমাদের বৃত্তিমুখী শিক্ষার ক্ষেত্র প্রসারিত করা উচিত। জ্ঞানের বিকাশ ঘটানোর জন্য জিজ্ঞাসা জরুরী। এছাড়ও সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসরাফিল আলম এমপি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. শহিদুল ইসলাম পাটওয়ারী, বিশ্বদ্যিালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. কে এম মহসিন এবং ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটওয়ারী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, কোয়ালিটি এসুরেন্স এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান প্রমুখ। সমাবর্তনে ৪ জনকে চ্যান্সেলর এওয়ার্ড, ৭ জনকে ভাইস চ্যান্সলর এওয়ার্ড ও ৩ জনকে ডীন এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।