Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাফিকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে নিজ মোটরসাইকেলে আগুন

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

রাজশাহী নগরীতে ট্রাফিক সার্জেন্ট মোটরসাইকেল আটকে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আগুন দিয়েছে আশিক আলী নামে এক যুবক। গতকাল সোমবার বেলা পৌনে ২টার দিকে নগরীর কোর্ট হড়গ্রাম বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেল আরোহী আশিক আলী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার কাঁঠালবাড়িয়া হাটুভাঙ্গা মোড় এলাকার আসাদ আলীর ছেলে। কোর্ট হড়গ্রাম বাজারে রুটিন দায়িত্বে ছিলেন রাজশাহী নগর পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট আব্দুল কাইয়ুম। বেলা পৌনে ২টার দিকে আরও দুই আরোহীসহ আশিক আলী ওই এলাকা অতিক্রম করছিলো। চেকপোস্টে পুলিশ সার্জেন্ট তাদের আটকে দেন। কাগজপত্র দেখতে চাইলে আপত্তি জানান মোটরসাইকেল আরোহী। চাবি নিতে চাইলে বাধাও দেন। এসব নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দেয় আশিক আলী। ওই সময় কোর্ট রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় টহল দায়িত্বে ছিলেন নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক মৌসুমী আক্তার। খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান। মৌসুমী আক্তার জানান, একে তো মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী ছিলো। তার ওপর তাদের কারোরই হেলমেট ছিল না। সঙ্গে মোটরসাইকেলটির কাগজপত্রও ছিল না। চেকপোস্টে মোটরসাইকেলটি আটকে মামলা দিতে চেয়েছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট। এক পর্যায়ে তাকে কাগজপত্র এনে দেখানোর শর্ত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে সেই সুযোগ না নিয়ে নিজেই মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। ঘটনাস্থলটি নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশের আওতাধীন। আগুনে পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় রাজপাড়া থানা পুলিশ। এই ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী আশিক আলীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নগর ট্রাফিক পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) অনির্বান চাকমা জানান, ঘটনার পর তারা মোটরসাইকেল আরোহী আশিক আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তার বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন। এটি নিছক পাগলামী। মোটরসাইকেলটি তার নিজের সম্পদ হলেও সে পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আগুন দিতে পারে না। এতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি ব্যবসায় মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির শিকার হয় আশিক আলী। এ নিয়ে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলো। এরই মাঝে ট্রাফিক পুলিশ কাগজপত্র না থাকায় তার বিরুদ্ধে মামলা দিতে চেয়েছিলেন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে এই কাণ্ড ঘটায়। এ নিয়ে পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান এই নগর পুলিশ কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ