Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্রীনগরে গণপূর্তের জমি দখলে ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৫ এএম

শ্রীনগরে এবার গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রায় ১৫ কোটি টাকা মূল্যের জলাশয় দখল করে বালু দিয়ে ভড়াট করছে পাটাভোগ ইউনিয়ন আ. লীগর সভাপতি রমিজ উদ্দিন। শ্রীনগর-দোহার সড়কের মিল্কভিটা অফিসের উল্টো পাশে বেশ কয়েকদিন ধরে বিনা বাধায় এই ভড়াট কার্যক্রম চলছে বেশ জোড়েশোরে। এর আগে মিল্ক ভিটার পূর্ব পাশে একই মন্ত্রণালয়ের আরেকটি জলাশয় ভড়াট করে শ্রীনগরের চিহ্নিত ভূমি দস্যু সিন্ডিকেটের মূল হোতা দেলোয়ার হোসেন ওরফে হোটেল দেলোয়ার। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে মুন্সীগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের লোকজন এসে দেলোয়ারের ভাড়াটকৃত জলাশয় নিজেদের দখলে নেয়। অবশ্য দেলোয়ার গংদের দাবি ছিল তারা জায়গাটি মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ থেকে লিজ নিয়েছেন। কিন্তু গণপূর্তের জায়গা জেলা পরিষদ কিভাবে লিজ দিল এই প্রশ্নে গণপূর্ত বিভাগ নড়েচড়ে বসে।
গত রোববার দুপুরে মিল্কভিটা অফিস সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কুশরিপাড়া মৌজার আরএস ২নং খতিয়ানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গণপূর্ত নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের নামে ৪১ দাগে রেকর্ডকৃত ১ একর ১০ শতাংশ পরিমাপের জলাশয়টি ভড়াট চলছে।
স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানান, রমিজ উদ্দিন পটাভোগ ইউনিয়ন আ. লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরপরই এই জায়গার ওপর তার নজর পরে। এর প্রেক্ষিতে তিনি তার জামাতা সোহেলকে দিয়ে প্রথমে এখানে ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু ফেলে ড্রেজারের মাধ্যমে অন্যের জমি ভড়াটের ব্যবসা চালু করেন। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে এখানে বালু ফেলে রোলার দিয়ে তা ঠিক করার সময় স্থানীয়দের চোখে ধরা পরে রমিজ উদ্দিন জায়গাটি দখল শুরু করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, জলাশয়টি দোহার-শ্রীনগর রাস্তার সমান উচুকরে ভড়াট করা হয়েছে। বালু সংরক্ষনের জন্য পোতা হয়েছে বাঁশের খুটি। স্থায়ীত্ব বাড়ানোর জন্য মুলি বাঁশের বেড়া দেয়া হচ্ছে।
গণপূর্তের জায়গা দখল করে বালু ভরাট বিষয়ে আ. লীগ নেতা রমিজ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জায়গাটি গণপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের এটা সত্য। বালু যা ফেলেছি তা অন্যত্র সরিয়ে নিব। তবে বাঁশ ও বেড় দিয়ে আটকেছেন কেন এমন প্রশ্নে তিনি কোন উত্তর দেন নি।
এই বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুজ্জামান জানান, আমরা ঘটনায় জানতে পেরেছি, অতি দ্রুত জমি উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ