বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জ্বালানি তেলের নজিরবিহীন দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাস ভাড়াও বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে বাস মালিক সমিতি এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএ'র এক যৌথ সভা শেষে এই ঘোষণা করা হয়। ঢাকায় ১৬ শতাংশ এবং দূরপাল্লার বাসে ২২ শতাংশ বাস ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, মহানগরে প্রতি কিলোমিটার বাস ভাড়া বাড়বে ৩৫ পয়সা এবং দূরপাল্লার বাসে ভাড়া বাড়বে কিলোমিটার প্রতি ৪০ পয়সা। এর ফলে দূরপাল্লার বাসে প্রতি কিলোমিটার ভাড়া হবে দুই টাকা ২০ পয়সা।
নতুন ভাড়া বৃদ্ধির ফলে ঢাকা শহরে প্রতি কিলোমিটার বাস ভাড়া হবে দুই টাকা পঞ্চাশ পয়সা। তবে সর্বনিম্ন বাস ভাড়া হবে দশ টাকা। এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ জনগণের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা যায়।
শান্তনু চৌধুরী নামে একজন লিখেছেন, বিশ্ববাজারে যেখানে তেলের দাম কমানো হয়েছে, সেখানে আমাদেরকেও তেলের দাম কমানো উচিত। হয়ত প্রধানমন্ত্রী গাড়ির ব্যবহার কমাতে তেলের দাম বাড়িয়েছে। তবে, আমি একসাথে গ্যাসের দামও বাড়ানোর দাবি জানাই। নয়ত পরিবহনগুলো গ্যাসের নামে আবার দফায় দফায় ভাড়া বাড়াবে। এমনিতেই কঠিন জীবন পার করতেছি আমরা। আমাদের ওপর এবার একটু রহম করা হোক। সরকারি বাস বেশি রাস্তায় নামান। যেন ১০ মিনিট পর পর সব রুটে বাস থাকে।
জসিম উদ্দিন নামে একজন লিখেছেন, তেলের দাম বাড়ার একদিনের মাথায় বাস ভাড়া বাড়ে। সাধারণ মানুষের বেতন কবে বাড়বে, আপনারা জবাব দিন।
কনক বড়–ুয়া নামে একজন লিখেছেন, খুবই দুঃখের বিষয়। এই দেশে কোনো কিছু কমে না, শুধুই বাড়ে। কিন্তু মানুষের আয়ের দিকটাও বাড়ানো উচিত। সেটা সরকারি-বেসরকারি সব জায়গাই।
মো. জুনায়েদ হোসাইন নামে একজন লিখেছেন, হে আল্লাহ্ সাধারণ মানুষকে এই জালেম সরকার থেকে মুক্তি দাও।
এ আর বি ফারুক হোসাইন নামে একজন লিখেছেন, যেখানে যাবেন, যেদিকেই যাবেন বাঁশটা কিন্তু সাধারণ জনগণের, কোনো পাচারকারী কিংবা দুর্নীতিবাজদের না। কারণ তারা এখন সেই পরিমাণ ময়লা বাড়ায় খাবে। শুধু আমাদের মতো অসহায় দরিদ্র ও মধ্যবিত্তরাই এর কুফল ভোগ করবে। আল্লাহ্, হয় তাদের মানুষ বানাও না হলে ধ্বংস করে দাও। তাদের পাপের শাস্তি তুমি অসহায়ের ওপর চাপিয়ে দিও না।
মো. ইউসুফ নামে একজন লিখেছেন, কি চমৎকার মালিক সমিতি, তারা আবদার করলো আর সরকারও মেনে নিল। কিন্তু সরকার জনগণের কথা একবারও চিন্তা করল না।
বিপ্লব আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, আমরা নৌকায় করে সিঙ্গাপুর কানাডা যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ঢেউ উঠে নৌকা ঘুরিয়ে শ্রীলঙ্কার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
মো. রাসেল নামে একজন লিখেছেন, হে আল্লাহ এই দুর্নীতিবাজদের কবল থেকে আমাদের দেশ ও জনগণকে বাঁচাও।
মিনহাজুর রহমান সানি নামে একজন লিখেছেন, উন্নয়নের বাংলাদেশ! সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে শ্রীলঙ্কায় যাত্রা বিরতি।
অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন, তারা বলেন-সরকার জনগণের কথা চিন্তা করে না। চিন্তা করলে তারা জনগণের ওপর এমন জুলুম চাপিয়ে দিতো পারতো না। এমনিতেই সব কিছুর দাম বাড়তি, এর মাঝে আবার পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি। কীভাবে আমরা চলবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।