পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার মধ্যরাতে পেট্রল-ডিজেল-অকটেন সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এর আগে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছেন, পানির দাম বাড়িয়েছেন, সারের বাড়িয়েছেন। কোথায় যাবে মানুষ? এদেশের মানুষ আর এভাবে দেশ চালাতে দেবে না। ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম ও ছাত্রদল নেতা নুরে আলমের মৃত্যুর প্রতিবাদে এবং জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল রোববার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কৃষক দলের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকারকে আর টিকতে দেয়া যায় না হুশিয়ারি উচ্চারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা বাইক চালায় তারা তাদের পরিবারকে একটু পালে, বউ-বাচ্চার খরচ যোগায় বাইক চালিয়ে। তারা এখন চোখে অন্ধকার দেখছে। কৃষকরাও চোখে অন্ধকার দেখছে যে, ডিজেলের দাম বাড়লে কিভাবে সেচের কাজ করবেন? এটাতে সরকারের কোনো কিছু যায় আসে না। কারণ জনগণের তাদের দরকার নেই। তাদের আছে পুলিশ বাহিনী, বন্দুক বাহিনী, বিজিবি বাহিনী-এই বাহিনী দিয়ে দেশ চালাবে। আমাদের স্পষ্ট কথা- আর হবে না। এদেশের মানুষ আর এভাবে দেশ চালাতে দেবে না। আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতিকে, আমাদের ভবিষ্যতকে তারা ধবংস করেছে। সুতরাং এই সরকারকে আর টিকতে দেয়া যায় না।
তিনি বলেন, আমরা সবাই সংঘবদ্ধ হচ্ছি, ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি। আমি সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহবান জানিয়েছি- আসুন আর নিজেদের মধ্যে ছোট-খাটো বিভেদ সৃষ্টি না করে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।
সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন এবং পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। সংসদ বিলুপ্ত করুন এবং একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তার মাধ্যমে জনগণের পার্লামেন্টে, জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত করে তারাই সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। এটাই হচ্ছে একমাত্র পথ, আর অন্য কোনো পথ নেই।
সরকার মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে কিছু মানুষকে ধনী থেকে আরো ধনী বানিয়েছেন। আর কিছু মানুষকে গরীব থেকে গরীবে নিয়ে গেছেন। আর সরকার বড়াই করে মিথ্যা তথ্য দেয়। সমস্ত তথ্যগুলো হচ্ছে জনগনকে বিভ্রান্ত করবার জন্য।
জনগণকে আহবান জানিয়ে বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, এদের তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়ে সত্যিকার বিষয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন। তাহলে দেখবেন যে, চালের দাম কত বেড়েছে, তেলের দাম কত বেড়েছে, সবজীর দাম কত বেড়েছে, মাছের দাম কত বেড়েছে, গোসতের দাম কত বেড়েছে? তাহলে বুঝবেন এই দেশের অবস্থা কি?
গ্রামে গ্রামে গিয়ে কৃষক দলকে সংগঠিত করার আহবান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গ্রামে গ্রামে সংগঠনকে সংগঠিত করুন। ইনশাল্লাহ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে আমরা এখানে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।
আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও দেশে কমে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে সারের দাম বাড়বে, যাতায়াত খরচ বেড়ে যাবে- সব কিছুর দাম বাড়বে। অর্থনীতিতে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং অর্থনীতি খারাপের দিকে যাবে? তেলের কেনো বাড়ালে? বলছেন যে, পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লোকসানে যাচ্ছে। লোকসানে কেনো যাবে? ৫ বছর তো এই প্রতিষ্ঠান লাভ করেছে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কম ছিলো। কিন্তু আপনারা কমাননি। এখন কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। আমাদের হাছান মাহমুদ(তথ্য মন্ত্রী) সাহেব বললেন, বিশ্বের সব দেশে নাকী তেলে দাম আমাদের চেয়ে বেশি। আমেরিকাতে ১৪ ডলার ছিলো, তেলের দাম কমানোর সঙ্গে সঙ্গে তা ৩ ডলারে পৌঁছেছে। অর্থ্যাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমছে তখন তারাও কমায়, আমাদের দেশে- আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমে তখন এখানে (বাংলাদেশে) তেলের দাম বাড়ানো হয়। কেনো? তারা যে লুটপাট করে, তারা যে চুরি করে, দুর্নীতি করে সেই টাকাকে হালাল করার জন্য জনগণের পকেট থেকে কেটে নিয়ে যায়। পয়সা আমরা দেই।
রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ছাড়াও ঢাকার আশ-পাশের জেলাগুলো থেকে কৃষক দলের নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ বুকে লাগিয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে এই সমাবেশে অংশ নেয়। প্রখর রোদ্র উপেক্ষা করে কর্মীরা পলিথিনের মাদুরে বসে নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশি হামলা ও জ্বালানি তেল-সারের ম্ল্যূ বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানায়। ভোলার ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তার অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব।
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির আব্দুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না, ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিনের রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের আমিনুল হকসহ কৃষক দলের নাসির হায়দার, জামাল উদ্দিন খান মিলন, মামুনুর রশিদ খান, এসএম ফয়সাল, খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, ভিপি ইব্রাহিম, সৈয়দ অলি উল্রাহ সিদ্দিকী, ওব্ইাদুর রহমান টিপু, মাহমুদা হাবিবা, মেহেদি হাসান পলাশসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। ড্যাবের সভাপতি প্রফেসর ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসান ও ডা. মো: আবুল কেনানের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বক্তব্য রাখেন- এ্যাবের রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কাদের গনি চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমান শামীম, ডা. শহীদুল আলম, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রকৌশলী মাহবুব আলম, ড্যাবের ডা. মোঃ আবদুস সালাম, ডা. এমএ সেলিম, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল প্রমুখ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, গতকাল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষক দলের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বলেছেন, আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিদায়ী বছর ইনশাআল্লাহ। তেলের দাম, সারের দাম, গ্যাসের দাম বাড়ায় মানুষের জীবন দুর্বষহ হয়ে গেছে। সরকারের অশনি সংকেত বেজে গেছে। বিনা ভোটে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা সম্ভব নয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষকদের আহ্বয়াক তসিকুল ইসলাম তসি, ছাত্রদলের নেতা ওমর ফারুক রানা, মিম ফজলে আজিম, যুবদলের নেতা শওকত আলী, বিএনপি নেতা আসিফ, নজরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন।
নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ বিএনপি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক স¤পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এই সরকার আজকে সবচেয়ে ভয়াবহ দানবে পরিণত হয়েছে। তারা আজকে বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনগুলোকে কেড়ে নিচ্ছে। সেজন্যই এদেরকে ক্ষমতায় থেকে সরিয়ে দেওয়া- এটাই হচ্ছে একমাত্র দেশপ্রেমিকের কাজ। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক, সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
যশোর ব্যুরো জানায়, গতকাল সকালে ঝিনাইদহ শহরের এইচএসএস সড়কস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঝিনাইদহ জেলা কৃষকদল। প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এম এম মজিদ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এছাড়া সমাবেশে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড কামাল আজাদ পান্নু, বিএনপি নেতা আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, সাজেদুর রহমান পপপু, শ্রমিকদলের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব লাবলুর রহমান বাবলু, কৃষক দল নেতা মীজানুর রহমান মাস্টার, মো. আব্দুর রউফ, হাফিজুর রশিদ স্বপন ও আব্দুর রশিদ মোহন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
খুলনা ব্যুরো জানায়, জাতীয়তাবাদী কৃষক দল খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পথসভায় প্রধান অতিথি সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। খুলনা জেলা কৃষক দলের সভাপতি মোল্লা কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, আবু হোসেন বাবু।
স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে জানান, মাগুরা জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের বিক্ষোভ সমাবেশে রোবায়েত হোসেন খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি কুতুব উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খান কিজিল, জেলা বিএনপি নেতা ফারুকুজ্জামান ফারুক, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিমসহ বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মী। নেতারা তাদের বক্তব্যে বর্তমান অবৈধ ভোট চোর সরকারের পতনের জন্য তীব্র আন্দোলনের জন্য জনগণকে সাথে নিয়ে প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান।
রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা জানান, কৃষক দলের উদ্যোগে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম পিন্টু, সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট কামরুল আলম, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মো, আইয়ুবুর রহমান, সদস্য সচিব একেএম সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে লোডশেডিং, জ্বালানি তেল ও সারের মূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকার দায়ী। সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নির্দলীয় তত্তবাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।