Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অনুমোদন ছাড়াই ইবির কোয়ার্টারে থাকছেন শিক্ষক-কর্মকর্তা

ইবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২২, ১০:৩১ পিএম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ৩জন শিক্ষক ও একজন কর্মকর্তা কোয়ার্টারে বসবাস করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাসা বরাদ্দ কমিটির কাছে নথি পাঠিয়েছে স্টেট অফিস। রোববার (০৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এস্টেট অফিস সূত্রে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল হালিম ক্যাম্পাসস্থ ১২৫০ বর্গফুট (মেঘনা) কোয়ার্টারের নীচতলা পশ্চিম পার্শ্বস্থ কোয়ার্টারের বরাদ্দপ্রাপ্ত। তিনি গত ৪ জুলাই তারিখ থেকে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমোদনে ১৫০০ বর্গফুট কোয়ার্টারের ৪র্থ তলার পূর্ব পার্শস্থ কোয়ার্টারে বসবাস করছেন। অন্যদিকে ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জেসমিন আক্তার ৪ জুলাই থেকে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমোদনে ১২৫০ বর্গফুট (মেঘনা) কোয়ার্টারের নীচতলা পশ্চিম পার্শ্বস্থ কোয়ার্টারে বসবাস করেছেন। এছাড়া হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাফর আলী ক্যাম্পাসস্থ ১০০০ বর্গফুট (কর্ণফুলী) কোয়ার্টারের নীচতলা পূর্ব পার্শ্বস্থ কোয়ার্টারের বরাদ্দপ্রাপ্ত। তিনি গত ২৮ জুলাই থেকে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমোদনে ১২৫০ বর্গফুট (যমুনা) কোয়ার্টারের ৪তলা পশ্চিম পার্শ্বস্থ কোয়ার্টারে বসবাস করেছেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের শাখা কর্মকর্তা (নিরাপত্তা) তোফাজ্জেল হোসেন ক্যাম্পাসস্থ ৬০০ বর্গফুট (কোয়েল) চতুর্থ তলা পশ্চিম পার্শ্বস্থ কোয়ার্টারের বরাদ্দপ্রাপ্ত। তিনি গত ২৮ জুলাই থেকে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমোদনে ১০০০ বর্গফুট (কর্ণফুলী) কোয়ার্টারের নীচতলা পূর্ব পার্শ্বস্থ কোয়ার্টারে বসবাস করেছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে এস্টেট অফিসের শাখা কর্মকর্তা (নিরাপত্তা) তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, আমি সংশ্লিষ্টদের মৌখিক অনুমতি নিয়ে বাসায় উঠেছিলাম। আগামী ১৪ তারিখ বাসা বরাদ্দ কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। আশাকরি সেখানে বিষয়টি ক্লিয়ার করা হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল হালিমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক কমিটির আহ্বয়াক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, আমি যতদূর জানি তাদের আগে থেকেই এলটমেন্ট ছিলো; এজন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তারা অন্য ভবনে এক্সচেঞ্জ করেছেন। তারা এটা প্রশাসনকিভাবে করেছেন কি না সেবিষয়ে আমি অবগত নই। এটা আমার এখতিয়ার বহির্ভূত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাসা বরাদ্দ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। আমার নলেজে নাই। তবে যথাযথ অনুমোদন ছাড়া কেউ থাকতে পারবে না।



 

Show all comments
  • প্রবাসী-একজন ৭ আগস্ট, ২০২২, ১১:০৩ পিএম says : 0
    ব্র্যান্ড নেইম "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ", আসলে "সেক্যুলার বিশ্ববিদ্যালয় ". অনেকটা "বাংলাদেশী মাছ " ব্র্যান্ড নেইম -এর মতো। পাশ্চাত্যের যে দেশে আমি থাকি, এখানে কোনো কোনো দোকানে ইলিশ মাছের মতো মাছ পাওয়া যায়; প্যাকেটের গায়ে বড় করে বাংলায় লেখা থাকে "বাংলাদেশী মাছ " এবং প্যাকেটের নিচের দিকে ছোটো করে ইংরেজিতে লেখা থাকে " প্রোডাক্ট অফ থাইল্যান্ড " । দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলাম, থাই মাছকে "বাংলাদেশী মাছ " বলে বিক্রি করছো? দোকানদারের সোজা উত্তর, "ওটা একটা ব্র্যান্ড নেইম" ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ