Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিশুদের করোনা টিকা দেয়া শুরু ১১ আগস্ট

বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দ্বিতীয় ডোজ আর পাওয়া যাবে না, দ্রুত নিন :: কল-কারখানায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার চালু করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২২, ১২:০১ এএম

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা থেকে সুরক্ষায় প্রাপ্তবয়স্ক ও মাধ্যমিকের শিশুদের টিকাদানের পাশাপাশি এবার প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের তথা ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১১ আগস্ট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এসব শিশুকে করোনার টিকা দেয়া শুরু হবে। কিছুদিন পর আগামী ২৫ আগস্ট পুরোদমে এসব শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম)-এ বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অবশ্য ইতোমধ্যে শিশুদের এই টিকা নিতে অভিভাবকদের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করার আহ্বান জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে আগামী ১১ আগস্টে শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর পর্যবেক্ষণের জন্য কিছু সময় নেব। কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৫ আগস্ট থেকে এই টিকা কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে। জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে এখনও প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু কিছুদিন পর আর দ্বিতীয় ডোজও পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, দ্বিতীয় ডোজের জন্য আমাদের কাছে যে পরিমাণ টিকা সংরক্ষিত আছে, সেগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তাই যারা এখনও টিকা নেননি, তারা দ্রুত টিকা নিয়ে নিন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সারাদেশে সফলভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। যার ফলে আমরা করোনা সংক্রমণকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কিন্তু এখনও অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়নি। তাদের জন্য বলতে চাই, দ্বিতীয় ডোজ না নিলে কিন্তু তারা বুস্টার ডোজও পাবে না। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশে এখন ৭০ ভাগ দুগ্ধজাত শিশু মায়ের দুধ পান করলেও প্রায় ৩০ ভাগ শিশু মায়ের দুধ পান করে না। কেন করছে না সে বিষয়টিতে আরও গুরুত্ব দেয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে শিশুদের জন্মের পর থেকেই মায়ের দুধ পান করানোর ওপর গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কল-কারখানায় মায়েদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার চালুর কথাও বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর এবং নিপসম-এর পরিচালক প্রফেসর ডা. বায়েজিদ খুরশীদ রিয়াজ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পুষ্টিসেবা লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২২ এর প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ও সিনিয়র সাইন্টিস্ট প্রফেসর ডা. এস কে রায়। উপস্থিত সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য) সৈয়দ মুজিবুল হক। এই বছর বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘মাতৃদুগ্ধ পান এগিয়ে নিতে, শিক্ষা ও সহযোগিতা হবে বাড়াতে’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ