পাবনা জেলা সংবাদদাতা : পাবনার হাড়িয়াবাড়ি গ্রামে শম্পা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূকে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী-শ্বশুরবাড়ির লোকজন শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।নিহত শম্পা সদর উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। নিহত শম্পা খাতুনের ১৪ মাস বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
নিহতের দাদা আলাউদ্দিন সরদার জানান, পাবনা সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের হাড়িয়াবাড়ি গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে জাহিদ হোসেনের সঙ্গে ৫ বছর আগে একই উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে শম্পা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয়। তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে মাঝে মধ্যেই শম্পাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল জাহিদ ও তার বাড়ির লোকজন। সোমবার দিবাগত রাতে জাহিদ ও তার পরিবারের লোকজন শম্পাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। শম্পা তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় সবাই মিলে শম্পাকে বেধড়ক মারপিট ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার পর অবস্থা বেগতিক ভেবে জাহিদ ও তার বাড়ির অন্য সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, শম্পা খাতুনের স্বামী জাহিদ কোন কাজ কর্ম করতেন না। সে মাদক সেবন ও জুয়া খেলায় আসক্ত ছিল। মাদক সেবন আর জুয়া খেলার টাকার জন্যই মাঝে মধ্যে শম্পাকে মারধর করতো।
স্থানীয়রা জানান, ওই বাড়িতে সকালে কোন সাড়াশব্দ না মেলায় বাড়ির ভিতরে জাহিদের ঘরে শম্পাকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ঘটনাস্থল থেকে শম্পার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।