Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তথ্য গোপন করে প্রধান শিক্ষক পদে বহাল

| প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সিংড়া (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : নাটোরের সিংড়ায় তথ্য গোপন করে প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রায় ১২ বছর থেকে প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি করছেন পাকিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেন। জানা যায়, মো: আলমগীর হোসেন ১৯৮১ এবং ১৯৮৪ সালে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসিতে তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৮-০৭-১৯৮৮ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে হোসেনপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ০১-০১-১৯৯২ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত লাভ করে এবং ০১-০১-২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয়। এসময় তিনি তথ্য গোপন করে অসাধু এক কর্মকর্তার যোগসাজশে ১৯-০৪-২০১৫ সালে পাকিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। সূত্রে জানা যায়, গত ২০০৮ সালের ১৪ জুলাই তারিখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের শিক্ষা ও ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নীতিমালা জারি করেন। সে নীতিমালা মোতাবেক এসএসসি ও এইচএসসি দু’টিতে তৃতীয় বিভাগপ্রাপ্ত কেউ প্রধান শিক্ষক হতে পারবেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, নিয়ম নেই। এটা কোনোভাবে কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করার ফল। তাছাড়া তথ্য জালিয়াতিসহ প্রধান শিক্ষক হিসেবে তার বেতন-ভাতা নেয়ার এখতিয়ার নেই। প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষা অফিসে সঠিক তথ্য আছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নফীসা বেগম বলেন, বিষয়টি গুরুতর। তবে অভিযোগ সত্য হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ