Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ঝালকাঠিতে খাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ট্রলার চালককে জীবিত উদ্ধার

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২২, ৩:২৬ পিএম

ঝালকাঠিতে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় খাল থেকে এক ট্রলারচালককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের ভিমরুলী গ্রামের দুয়ারী খাল থেকে শনিবার রাত ১১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
পার্থ হালদারকে ( ২৬) উদ্ধার করে দ্রুত ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাত দেড়টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে তার শরীরের অবস্থার উন্নতি হয়।
পরিবারের দাবি, ভিমরুলীর ‘পেয়ারা চাষি সমবায় সমিতি’ নামের স্থানীয় একটি এনজিও’র মালিক জীবন কৃষ্ণ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে পার্থকে হত্যার চেষ্টা করেছেন।
কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম মিয়া রবিবার দুপুর সারে ১২ টায় বলেন, ‘অভিযুক্ত জীবন, পার্থের কাছে টাকা পাবেন এ বিষয়টি সত্যি। এর জেরে গত শনিবার জীবন তার ট্রলার আটকায়। তবে পার্থকে কে বা কারা খালে ফেলল সে বিষয়টি এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে।’
পার্থ হালদারের কাকাতো ভাই সজীব হালদার বলেন, ‘এখনও হাসপাতালেই আছি। পার্থের শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালোর দিকে।
সজীব আরও বলেন, ‘কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় কয়েকদিন ধরে পার্থের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল জীবনের সঙ্গে। এর বাইরে পার্থর সঙ্গে আর কারও কোনো শত্রুতা নেই।’
পার্থের স্ত্রী সমাপ্তি হালদার বলেন, ‘ছয় মাস আগে জীবন কৃষ্ণ বাবুর সমিতি থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নেন পার্থ। কিস্তির টাকা শোধ করতে ট্রলার ভাড়া নিয়ে পেয়ারা বাগানে পর্যটকদের ঘুরে দেখানোর কাজ করেন। অভাবের সংসারে দৈনিক অল্প যা আয় হয় তা দিয়েই দিন চলত। এরমধ্যে কিস্তির টাকা দিতে না পারায় সমিতি থেকে লোকজন প্রতিদিন তাকে মারতে আসত। তারাই আমার স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করেছে।’
পার্থকে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া সাগর হালদার বলেন, ‘ পথচারি একজন হাত- পা বাঁধা অবস্থায় পার্থ হালদারকে দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দেয়। পরে আমরা গিয়ে তাকে উদ্ধা করি। সাগর হালদার আরও বলেন, এনজিও মালিক জীবনের সঙ্গে গত শনিবার বিকেলেও তর্ক হয়েছে পার্থের। তারাই তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে আমার ধারণা।’
এ দিকে পার্থের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে থানায় অভিযোগ দিতে পারেনি তার পরিবার। পার্থের বাবা মানসিক ভরসাম্যহীন ও দু'বছরের মেয়েকে নিয়ে রাতে থানায় যেতে পারেননি বলে জানান সমাপ্তি হালদার।
সমিতির মালিক অভিযুক্ত জীবন রাত থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ