Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রিজে উঠতে লাগে বাঁশের সাঁকো

| প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আবদুল ওয়াজেদ কচি, সাতক্ষীরা থেকে : সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার খেশরা খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার কাটিপাড়া এলাকায় ১৫টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের দুর্ভোগের কারণ শালিখা ব্রিজ। সাতক্ষীরা-খুলনা সীমান্তে অবস্থিত বলে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে নজর নেই কারো। ব্রিজটির দুপাশে মাটি না থাকায় চলাচল করতে পারে না মানুষ। তাছাড়া বিজটি জরাজীর্ণ। প্রয়োজনের তাগিদে ভিন্ন রাস্তা দিয়ে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হয় এসব মানুষের। নৌকায়ও পারাপার হতে হয়। এলাকাবাসী জানান, ১৫টি গ্রামের ত্রিশ হাজার মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম শালিখা ব্রিজটি। তাছাড়া এই ব্রিজটি শাহাজাতপুর, কাটিপাড়া, বাঁকা, আশাশুনি, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার পাইকগাছা ও কয়রার সাথে যোগাযোগ মাধ্যম। পাশেই রয়েছে কেএসডি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। প্রতিদিন সাধারণ মানুষসহ হাজারো শিক্ষার্থীকে ব্রিজটির জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কিন্তু এ দুর্ভোগ লাঘবে কেউ নজর দেয় না। কেএসডি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোনিয়া খাতুন বলেন, প্রতিদিন নদী পার হয়ে স্কুলে আসতে হয়। নৌকার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা লাগে। কয়েকদিন আগে আমি পড়ে গিয়ে সেদিন আর বিদ্যালয়ে আসতে পারিনি। ব্রিজটার জন্য অনেক সময় বিদ্যালয়ে পৌঁছতেই দেরি হয়ে যায়। প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় বিষয়টিকে কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না। শালিকা এলাকার কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, আমাদের এসব এলাকায় সবজি চাষ ভালো হয়। কিন্তু চাষিরা সেগুলো হাটে-বাজারেও নিয়ে যেতে পারে না। পার্শ্ববর্তী শালিকা মোড়ের ব্রিজটির একই অবস্থা। দেখার যেন কেউ নেই। এ বিষয়ে খেশরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজীব হোসেন রাজু বলেন, ব্রিজটি সম্পূর্ণটাই ভেঙে গেছে। তাছাড়া দুই পাশে কোনো মাটিও নেই। স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা যেন বিচ্ছিন্ন না হয়ে পড়ে। তালা উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছিল তিনি বিষয়টি সরেজমিন দেখার পর জানিয়েছেন, ব্রিজটি তালা উপজেলার মধ্যে পড়ে না। ব্রিজটি খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার সীমানার মধ্যে। যার কারণে সরকারিভাবে সাতক্ষীরা জেলা থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। মৌখিকভাবে বিষয়টি পাইকগাছা থানা এলাকার কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেনকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। তবে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে পাশর্^বর্তী খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদুল মোশতাক জানান, যখন ব্রিজটা করা হয়েছিল তখন নদীটা অনেক ছোট ছিল। পরবর্তীতে নদী বড় হয়ে যাওয়ায় ব্রিজটা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। কিছুদিন স্থানীয়রা চরাট তৈরি করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করলেও বর্তমানে সেটিও অচল হয়ে পড়েছে। ব্রিজটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এলজিইডি বিভাগকে জানানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ