বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজারে গণপরিবহন ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার পর্যটক। আগাম ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আটকা পড়েছেন তারা। তেলের দাম বৃদ্ধির সাথে পরিবহন ভাড়া নির্ধারণ না হওয়ায় এই অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল শনিবার কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, কলাতলী, সুগন্ধাসহ আশপাশের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
এর আগে গত শুক্রবার রাত থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় হানিফ পরিবহন, সৌদিয়া, মারছা, এসআই পরিবহনের মালিক কর্তৃপক্ষ। তবে সকাল থেকে কিছু কিছু বাস ইচ্ছেমতো চড়া দাম নিয়ে গাড়ি ছেড়েছে। এই নিয়ে পর্যটক ও সাধারণ যাত্রীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটের বাসের নতুন ভাড়া নির্ধারিত হলেও অন্যান্য রুটের ভাড়া পরিবর্তন হয়নি। ফলে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের কিছু বাস চলাচল শুরু হয়েছে। কিন্তু ঢাকাসহ অন্যান্য রুটে দূরপাল্লার বাসগুলো এখনও চলাচল শুরু হয়নি। এসব গাড়ি বন্ধ থাকায় গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটিতে কক্সবাজার আসা পর্যটকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। আটকে পড়া পর্যটকেরা জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ায় হোটেল কক্ষ ছেড়ে দিয়ে বাস কাউন্টারে এসে দেখেন বাসের অঘোষিত ধর্মঘট।
নোয়াখালী থেকে স্বপরিবারে বেড়াতে আসা কায়ূম উদ্দিন বলেন, হোটেল কক্ষ থেকে বাস টার্মিনালে এসেছি সকালে। কিন্তু বাস ছাড়ছে না; টিকিটও বিক্রি হচ্ছে না। এখন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাস কাউন্টারে দাঁড়িয়ে আছি। এই বিষয়ে কক্সবাজার পরিবহন শ্রমিক নেতা নুরুল আমিন বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সকাল থেকে দূরপাল্লার বাসগুলো নিজেদের মতো ভাড়া বাড়িয়ে যাত্রী উঠানোর চেষ্টা করে। কিন্তু অধিকাংশ যাত্রী বাড়তি ভাড়ায় যেতে রাজী হয়নি। ফলে বাস চলাচল বন্ধ ছিলো। তবে দুপুরে ভাড়া নির্ধারণ হলে আস্তে আস্তে বাস ছাড়তে শুরু করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।