Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

টাঙ্গাইলে বাস ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামীর আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২২, ৯:২৬ পিএম

কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহনের বাসে টাঙ্গাইলে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামী আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শনিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শামছুল আলম ও রুমি খাতুন আসামীদের এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। জবানবন্দি দেওয়া আসামীরা হলেন- রাজা মিয়া (৩২), আব্দুল আওয়াল (৩০) ও নুরনবী (২৬)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশের (উত্তর) অফিসার ইনচার্জ মো: হেলাল উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামী টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বেচ্ছায় পৃথকভাবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃত আসামী রাজাকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরে রাজাকে শনিবার আদালতে প্রেরণ করা হলে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলমের কাছে ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

অপরদিকে শুক্রবার গ্রেফতারকৃত দুই আসামী নুরনবী ও আওয়ালকে শনিবার আদালতে হাজির করা হলে তারা দুজনেই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার মর্মে আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আসামী নুরনবী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলমের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অন্যদিকে গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামী আওয়াল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট রুমি খাতুনের আদালতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকা মর্মে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

পরে আদালতের বিচারকদ্বয় জবানবন্দি লিপিবদ্ধ শেষে রাতে আসামীদের জেলা হাজকে প্রেরন করেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস নারায়নগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি খাবার হোটেলে যাত্রা বিরতি করে। সেখান থেকে যাত্রা শুরুর পর তিন দফায় যাত্রীবেশি কয়েক জন ডাকাত বাসে ওঠে। বাসটি টাঙ্গাইল অতিক্রম করার পর ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে বাসটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। তারা যাত্রীদের হাত, পা, চোখ বেঁধে তাদের সব লুট করে নেয়। এ সময় বাসে থাকা এক নারী যাত্রী ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হন। ডাকাতরা বাসটি টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের দিকে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাসটি মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া নামক স্থানে রাস্তার খাদে নামিয়ে দেয় তারা। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা যাত্রীদের উদ্ধার করে। পরে পুলিশ আসলে যাত্রীরা ডাকাতি ও নির্যাতনের বিষয়টি জানান। ওই বাসের যাত্রী হেকমত মিয়া বাদী হয়ে মধুপুর থানায় বাস ডাকাতি ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ