রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাদারীপুরের কালকিনিতে এলজিইডির একটি সড়কের শতাধিক মেহগনি গাছ মাত্র আড়াই লাখ টাকায় টেন্ডার আহবান করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদার ও কর্মকর্তা যোগসাজশে ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছর বয়সী এসব গাছের এত কম দামে বিক্রি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চলছে তীব্র ক্ষোভ। তবে, গাছের দাম নির্ধারণে কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেন গাছ নিলাম কমিটির সভাপতি ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
কালকিনি উপজেলা মালামাল/গাছ নিলাম কমিটি সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার চরদৌলত খান ইউনিয়নের শিকদারের মার্কেট থেকে চরফতে বাহাদুর উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা পর্যন্ত এলজিইডি’র সড়ক সম্প্রসারণ করার প্রয়োজনে গত ১৩ জুলাই তারিখে কালকিনি উপজেলা ভূমি অফিস থেকে উপজেলা মালামাল/গাছ নিলাম কমিটি এই সড়কটির গাছ বিক্রয়ের নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। চরদৌলত খান ইউনিয়নের এই সড়কটিতে নিলাম বিজ্ঞপ্তির আগে উপজেলা বন কর্মকর্তা ও উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী ১১৭টি গাছের দাম গড়ে ২ হাজার ২শ’ ১৩ টাকা করে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৯শ’ ৮০ টাকা নির্ধারণ করেন। পরে গত ২৪ জুলাই নিলাম কমিটি গাছ নিলাম তুললে মাতুল মাতুব্বর নামের এক ঠিকাদার ওই টাকার বিপরীতে গাছ অপসারণের দায়িত্ব পায়। কিন্তু সড়কের অধিকাংশ মেহগনি গাছের বয়স ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছরের মত হওয়ায় স্থানীয়রা এই গাছের দাম নির্ধারিত দামের চেয়ে বিশ থেকে ত্রিশ গুণ বেশি দাবি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা চরফতেবাহাদুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হেমায়েত শিকদার বলেন, ‘আমাদের এলাকার এই সড়কটিতে যে মেহগনি গাছগুলোকে কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা জেনেছি এই গাছগুলোকে একুশ শ’ থেকে বাইশ শ’ টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই গাছগুলোর বয়স ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছর। এগুলোর এক একটি গাছের দাম ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা। কোন কোন গাছের দাম এক লাখ টাকাও হবে। যারা এই গাছগুলোকে বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে কম দেখিয়ে নিজেরা লাভবান হচ্ছে।
কালকিনি উপজেলা মালামাল ও গাছ নিলাম কমিটির নির্ধারিত ১১৭টি গাছেরও বেশি গাছ সড়ক থেকে কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। ঠিকাদার মাতুল মাতুব্বর বলেন, আমরা সরকারের কাগজ অনুযায়ী গাছ কেটে নিচ্ছি। আপনারা ভাল করে খোঁজ করে দেখেন কাগজের বাইরে আমরা কোন গাছ কেটে নিচ্ছি না।
এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মালামাল/গাছ নিলাম কমিটির সভাপতি পিংকী সাহা বলেন, সঠিক প্রক্রিয়ায় তারা সড়কটির গাছ নিলামে দিয়েছেন। এখানে কোন অভিযোগের প্রশ্নই ওঠে না।’
কালকিনি উপজেলার গাছ নিলাম কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সভাপতি, সহকারী ভূমি কমিশনার সদস্য সচিব এবং উপজেলা বন কর্মকর্তা ও উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সদস্য হিসেবে রয়েছেন। স্থানীয়রা গাছ বিক্রিতে অনিয়ম তদন্ত সাপেক্ষে সড়কের গাছের প্রকৃত দাম নির্ধারণ করে সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর দাবি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।