Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গারো পাহাড়ে আমলকি চাষে কৃষকের হাসি

এস. কে. সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৬ এএম

সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী, শ্রবিরদী ও নালিতাবাড়ি গারো পাহাড়ি অঞ্চলে চাষ হচ্ছে ভেষজ আমলকি ফল। আমলকির জনপ্রিয়তা বহুদিনের। ক্রমেই বাড়ছে চাহিদা। হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে দেদার। ভাল দাম পাওয়ায় বেজায় খুশি কৃষকরা। বিক্রিতে লাভের মূখ দেখছেন কৃষকরা। ভাগ্য খূলে গেছে তাদের। স্থানীয কৃষি বিভাগ আমলকি চাষে সাহায্য-সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে এ পর্যায়ে এনেছেন, দাবি করেছেন কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন দিলদার। আমলকি পাহাড়ি ফল।

ইতোপূর্বে এমনইতেই গারো পাহাড়ে জন্মাতো বলে আমলকি চাষি শতবর্ষী ডা. অব্দুল বারী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা, আলহাজ শরীফ উদ্দিন সরকার ও মো. সরোয়ার্দী দুদু মন্ডলসহ পাহাড়িরা জানান। তারা বলেন, ফলটির রোগ নিরাময় ক্ষমতা না থাকলেও রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। রুচি বর্ধক ফল হিসেবে সমাদৃত। অ্যাসিডিটিতে এক গ্লাস দুধ অথবা পানির সাথে আমলকির গুড়া চিনি মিশিয়ে দৈনিক ২ বার খেলে ভাল হয়ে যায়। ভেষজ হিসেবে এর জনপ্রিয়তা পুরোনো। রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক ফল। গারো পাহাড়ের হাট বাজারে প্রচুর আমলকি বিকিকিনি হচ্ছে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট,ও ভিটামিন সি রয়েছে ডায়েটারী ফাইভার, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, আইরন এবং ক্যারোটিন। তাই আমলকির এতো জনপ্রিয়তা-চাহিদা। চুল পরিচর্যায়, গোড়া মজবুতিকরণ, চুল বৃদ্ধি-খুশকি দূর এবং চুল পাকা দূর করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকির রস কোষ্ঠকাঠ্যিতা ও পাইলস ছাড়াও বদহজম দূর করে। সর্দি-কাশি. লিউকেরিয়া, স্কার্ভি রোগ নিরাময় করে। ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়, কালো দাগ সারায় প্রতিদিন সকালে রসের সাথে মধূ মিশিয়ে খেলে। ফাইটো-কেমিক্যাল থাকায় চোখের প্রদাহ, দৃষ্টিশক্তি বাড়ানো, চুলকানী ভাল হয়। খেলে মূখের দুর্গন্ধ দূর-মাড়ি সুস্থ, মানসিক চাপ কমায়, বুক ধড়পর করে না, ঝুঁকি থাকে না হৃদরোগের। কফ-কাশি অনিদ্রা বমি, ব্যথা দূর হয়। শরীর ঠান্ডা রাখে, অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট কমায়, পেশি মজবুত, কার্যক্ষমতা বাড়ায়। আমলকি অনেক উপকারী ভেষজ ফল। কৃষকরাও ঝুকে পড়েছেন আমলকি চাষে। ভাল ফলন ও দাম পাওয়ায় তারা দারুণ খুশি। তাই দ্রুত বাড়ছে চাষির সংখ্যা। বাড়ছে কৃষকদের আগ্রহ। হচ্ছে লাভবান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, কৃষি বিভাগ, কৃষকদের সাহায্য-সহযোগীতায় পাহাড়ি অঞ্চলে আমলকির চাষাচাদ হচ্ছে এবং কৃষকরা লাভের মূখ দেখছেন। আরো কৃষকদের উদ্বোদ্ধ করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক-আল-মাসুদ বলেন, আমলকি পাহড়ি ফল। ইতোপূর্বে গারো পাহাড়ে এমনিতেই এ ফলের গাছ ছিল। এ ফল চাষ এখানের জন্য উপযোগী। সুতরাং ব্যাপক চাষ করে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশ-বিদেশে রফতানীতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব এবং বেকার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির অপার সম্ভাবণা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ