বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সীতাকুন্ড উপজেলা সংবাদদাতা : পুলিশের চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলা বন্ধ, অতিরিক্ত টোল প্রত্যাহারসহ ৯ দফা দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুÐে ব্যারিকেড দিয়েছে পরিবহন শ্রমিক-কর্মচারীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে তারা উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে চট্টগ্রামের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে চরম দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী। পরে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার শ্রমিক নেতাদের সাথে আলোচনায় বসে দাবিগুলো মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে বেলা ৩টায় অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
বৃহত্তর চট্টগ্রামের মহাসড়ক, নগরী, বিভিন্ন পৌর এলাকায় পুলিশের চাঁদাবাজি লাগামহীন হয়ে পড়েছে। গাড়ির কাগজপত্র তল্লাশি, ওভার লোডিং, ওভারটেকিং, অবৈধ পার্কিংসহ বিভিন্ন অজুহাতে পুলিশ গাড়ি চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। শুধু পুলিশ কর্তৃক নয়, পরিবহন শ্রমিকরা হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন প্রতিটি ওজন নির্ণায়ক স্কেলে। সেখানে অতিরিক্ত মালামাল বহনের অভিযোগ তুলে ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয়। না দিলে মামলা। মহাসড়ক ছেড়ে নগরী বা পৌর এলাকায় গেলেও চাঁদাবাজি থেকে রক্ষা মেলে না। নাম মাত্র একটি রসিদ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কতিপয় চাঁদাবাজ। এভাবে যত্রতত্র হয়রানির স্বীকার হতে হতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠা পরিবহন শ্রমিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন গতকাল বৃহত্তর চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়। পূর্ব ঘোষিত এই ধর্মঘট কর্মসূচি সফল করতে গতকাল সকাল ৬টা থেকেই তারা দেশের লাইফ লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে ব্যারিকেড দেয়। বিশেষত চট্টগ্রামের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে তারা চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার উপজেলা সীতাকুÐের ফৌজদারহাট-পোর্ট কানেকটিং সড়ক, ভাটিয়ারী, কুমিরাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে ব্যারিকেড দিলে ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকরা দাবি করেন, যারা ধর্মঘটের কথা জানেন তাদের বেশির ভাগই গাড়ি নিয়ে বের হননি। কিন্তু চট্টগ্রামের বাইরে অন্য এলাকায় থাকা গাড়ি চালকরা অনেকে ধর্মঘটের কথা না জানায় মহাসড়কে চলে আসেন। তবে ধর্মঘটের কারণে এসব গাড়ি তারা চলতে দিচ্ছেন না। এতে সাময়িক যাত্রীদের অসুবিধা হলেও তাদের কিছু করার নেই। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ছবুর এ প্রতিবেদককে বলেন, পথে পথে পুলিশের চাঁদাবাজি, অতিরিক্ত টোল প্রত্যাহার, স্কেলে চাঁদাবাজি বন্ধসহ মোট ৯দফা দাবিতে বৃহত্তর চট্টগ্রামে আমরা পরিবহন ধর্মঘট পালন করেছি। এদিকে সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রামে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়লে দুপুর ১২টায় বিষয়টি নিয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সাথে বৈঠকে বসেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ-উল হাসান ও পুলিশ সুপার নূর-ই আলম মিনা। সেখানে দাবিগুলো পূরণে পুলিশ কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে বেলা ৩টায় অবরোধ প্রত্যাহার করেন পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।