প্রেমের টানে ভারতের সাগর পারের তামিলনাড়ু– থেকে বরিশালে আসা নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ড্যান্সার প্রেমকান্ত মারধোরের শিকার হয়েছেন। তারকাছ থেকে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়ারও অুভিযোগ উঠেছে। শেষে জীবন বাঁচাতে এয়ারপোর্ট থানায় আশ্রয় নিয়ে প্রাণ নিয়ে আবার তামিলনাড়– ফিরে গেছেন প্রেমকান্ত।

প্রেমকান্তের ভাষ্যমতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার নাচ দেখে মুগ্ধ হয় বরগুনা জেলার তালতলি উপজেলার এক কিশোরী। কিশোরী নাচের ভিডিওতে লাইক, কমেন্ট করতে থাকে। এভাবেই তাদের মধ্যে ভাবের আদান প্রদান হয়। ২০১৯ সন থেকে তিন বছর তারা ফেসবুকের মাধ্যমে জমিয়ে প্রেমও করেন।
এমনকি দু পরিবারের মধ্যেও সুসম্পর্কও গড়ে ওঠে। পছন্দের প্রেমিকাকে চাক্ষুষ দেখার জন্য প্রেমকান্ত সরাসরি বরিশাল চলে আসেন। একটি রেস্টুরেন্টে দুজনের দেখাও হয়। প্রেমকান্ত জানতে পারেন চয়ন হালদার নামের এক যুবকের সাথে তার প্রেমিকার ঘনিষ্ট সম্পর্ক আছে। আর এ সুবাদেই চয়ন হালদার প্রেমকান্তকে মারধোর করে ছিনিয়ে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এমনকি প্রেমিকাও সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

দেশে ফিরে যাবার আগে আরেকবার প্রেমিকার সাথে দেখা করার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে প্রেমকান্ত। সাহায্য চায় পুলিশের। বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার সাংবাদিকদের জানান, যুবকটি বৈধভাবে বাংলাদেশে এসেছে। জীবন রক্ষার্থে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনে যোগাযোগ করা হলে তারা প্রেমকান্তকে বোঝায় যে, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী মেয়েটি এখনও অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার সাথে সম্পর্ক রাখা বেআইনী।
প্রেমকান্ত বিষয়টি বুঝে পরে হাইকমিশনের উপদেশে সড়কপথে ঢাকা চলে গেছে। সেখান থেকে নিজ দায়িত্বে নিজ দেশে ফিরে যাবে বরে জানিয়েছে।