Inqilab Logo

শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

যাত্রীদের পোশাক খুলে হাত-মুখ বেঁধে ফেলে ডাকাতরা : টাঙ্গাইলের এসপি

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০২২, ৮:০৭ পিএম

কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল পরিবহনের চলন্ত বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মোহাম্মদ কায়সার। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের ওই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ঈগল এক্সপ্রেসের বাসটি গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা করে। রাত ১১টা ১০ মিনিটে সিরাজগঞ্জের রোড এলাকায় রাতের খাবারের জন্য ২০ মিনিটের বিরতি দেয়। বিরতি শেষে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে পুনরায় বাসটি যাত্রা শুরু করে। যাত্রা করার ৫ মিনিট পর ৪ জন যাত্রী সংকেত দিলে তাদের বাসে তোলা হয়। ওই চারজনকে তুলে নিয়ে বাস চলতে থাকে। প্রায় ৫ মিনিট পর আবার ৩ জন যাত্রী সংকেত দেয় এবং বাসে ওঠে। এরপর আরও ৩ জন যাত্রী একইভাবে বাসে ওঠে। ওই ১০ জনই ছিল সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য।

ওই ১০ জন ওঠার পর বাসটি চলতে থাকে। বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাটিয়াপাড়া পার হওয়ার পর ডাকাত দলের তিনজন চালকের আসন থেকে ড্রাইভারকে তুলে দিয়ে ডাকাত দলের একজনকে গাড়ির চালকের আসনে বসানো হয়। পুলিশ সুপার জানান, ডাকাত দলের ওই চালক বাসটি ঢাকার দিকে যাওয়ার সময় মহাসড়কে গোড়াই এলাকায় ওভারপাসের ওপর দিয়ে না গিয়ে নিচ দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে টাঙ্গাইলের দিকে নিয়ে আসে। এর মধ্যে ডাকাত দলের বাকি ৯ জন গাড়ির সিটে দাঁড়িয়ে দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। এ সময় পুরুষ যাত্রীদের পোষাক খুলে তাদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে।

এ ছাড়া নারী যাত্রীদের বাসের পর্দা এবং সিটের কাভার খুলে তাদের মুখ হাত-পা বেঁধে টাকা-পয়সা, মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কারসহ যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে নেয়। তখনো বাসটি চলতে থাকে। পরে টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা এবং কালিহাতী রোড হয়ে মধুপুরের দিকে যেতে থাকে। রাত ৩টা ২৫ মিনিটে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ-জামালপুর সড়কের মধুপুর-ঘাটাইল সীমান্তবর্তী এলাকার রক্তিপাড়ায় ডাকাত দলের সদস্যরা একজন একজন করে নেমে যায়। পরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সড়কের এক পাশে হেলে যায়। তিনি জানান, এই ঘটনায় ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়। পরে রাজা মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী ঝটিকা পরিবহনের চালক ছিলেন।

রাজা ডাকাতিতে যারা অংশগ্রহণ করেছে তিনি তাদের নাম বলেছেন। ডাকাতদলের সদস্য শুধু ডাকাতিই করেনি তারা বাসের একজন নারী যাত্রীকে ধর্ষণও করেছে। রাজার ভাষ্য মতে ৬ জন ডাকাত মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই নারীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারীর দেওয়া তথ্য এবং আসামির কথা অনুযায়ী ঘটনার মিল পাওয়া গেছে। ওই আসামি ঘটনার বর্ণনা ও অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ