পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনে অন্যান্য দলের মতো বিএনপির সাথে একমত হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। রাষ্ট্র মেরামতের জন্য সরকারবিরোধী সকল দলকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করার কথা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই সরকারকে সরানোর জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন প্রভৃতি বিষয় গণঅধিকারের সাথে ঐক্যমত হয়েছে। সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি জনগণের পার্লামেন্ট ও সরকার গঠন করা, যে সরকার সত্যিকার অর্থে জনগনের প্রতিনিধিত্ব করবে। আমরা মনে করি পরিবর্তন হওয়া দরকার, সংস্কার হওয়া দরকার মেরামত করার জন্য। মেরামত করার জন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করব।
গতকাল বুধবার রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদে সাথে পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে দেড় ঘন্টা সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মিডিয়া সেলের সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।
সংলাপে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সদস্য সচিব নুরুল হক নূর, যুগ্ম আহ্বায়ক মিয়া মশিউজ্জামান, হাবিবুর রহমান, রাশেদ খান, ফারুক হাসান ও জিসান মহসিন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়, এই সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যায় না সেই ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। কারণ এই সরকার অত্যন্ত সচুতরতার সঙ্গে এবং সচেতনভাবে বাংলাদেশের অর্জিত গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা, সাম্য ও সামাজিক মূল্যবোধ, ন্যায় বিচারের অধিকার এগুলো সব ধবংস করে দিয়েছে।
ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, এখানকার দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর আমরা বুঝেছি যে, আমরা একই পথে, একই চিন্তায় আমরর আছি। আমাদের খুব বেশি ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই, এটা একটা খুশির খবর সব বিরোধী দলের জন্য এবং যারা বাংলাদেশে একটা পরিবর্তনের দিকে, পরিবর্তন চায় তাদের জন্য একটা সুখবর।
তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই এবং আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় আমরা সেটা মনে করি না। অনেক দলের সাথে আলোচনা হচ্ছে, আরো হবে। একটা জাতীয় ঐক্য এই ব্যাপারে তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমাদের দুই দলের অবস্থান খুব কাছাকাছি এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করব এই স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে। যারা দেশে গণতন্ত্র চায় তারা সবাই একই ব্যানারে একসঙ্গে কাজ করব।
নুরুল হক নূর বলেন, দেশের চলমান সংকটে রাজনৈতিক দলগুলোর করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চলমান সংকটকে যেভাবে আমরা দেখি তাতে বিএনপির সাথে আমাদের খুব একটা পার্থক্য নেই। ১০টা বিষয় নিয়ে আলোচনা ছিল সব বিষয়ে আমরা একমত পোষন করেছি।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটাতে যুগপৎ কিংবা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে বিএনপির দাবির সাথে আমরাও একমত। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা, সংসদ বিলুপ্ত করা, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিকে একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা এবং এই অন্তবর্তীকালীন সরকার একটা গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং ইভিএম বাতিল করে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট গ্রহনের ব্যবস্থা। বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় ৩৬ লাখ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মামলা দেয়া হয়েছে। আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ অনেক ধর্মীয় নেতা বরণ্যে ব্যক্তিদেরকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তি এবং ধর্মীয় নেতাদেন নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।
সরকার বিরোধী আন্দোলনে বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম গড়তে তুলতে বিএনপি গত ২৪ মে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে। এই পর্যন্ত ২২ টি দলের সাথে সংলাপ শেষ করল তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।