Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেরপুরে বিএডিসি হিমাগারের ডিডির বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগে মামলা

শেরপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০২২, ৯:২৮ পিএম

শেরপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) হিমাগারের উপপরিচালক (বীজ আলু) মো. খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে এক কিশোরকে (১৩) বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় গত ১ আগস্ট ওই কিশোরের পিতা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। খলিলুর রহমান ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার ছলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার জেলা সদর হাসপাতালে ওই কিশোরের ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে ২২ ধারার জবানবন্দি গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া বুধবার হয়েছে তার বয়স নির্ধারণী পরীক্ষা। মঙ্গলবার ওই কর্মকর্তা সতর্কতার সাথে নিজ অফিস করলেও বুধবার অফিসে না থেকে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০/২৫ দিন পূর্বে শহরের শেরীব্রিজ সংলগ্ন বিএডিসি (আলু বীজ) হিমাগারের শ্রমিক সর্দার শরাফত আলীর মাধ্যমে উপপরিচালক খলিলুর রহমানের কোয়ার্টারে কাজের ছেলে হিসেবে কাজ শুরু করে সদর উপজেলার পূর্ব মনকান্দা এলাকার দরিদ্র পরিবারের ওই কিশোর। এরপর উপপরিচালক খলিলুর রহমান নানা প্রলোভনে ওই কিশোরকে পায়ুপথে ধর্ষণ করে এবং বিষয়টি প্রকাশ না করতে ভয়ভীতি দেখায়। এ নিয়ে ধর্ষণের শিকার কিশোর মা-বাবাকে বিষয়টি না জানালেও মন খারাপ করে থাকছিল। ওই অবস্থায় গত ১ আগস্ট সকাল ১০টায় ওই কিশোর কাজে যাওয়ার পর উপপরিচালক খলিল কোয়ার্টারের দ্বিতীয় তলায় তার বসবাসের কক্ষের ভেতর নিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে খাটের উপর শুইয়ে তার পরনের প্যান্ট খুলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে কিশোর কান্নাকাটি করতে করতে কোয়ার্টার হতে বের হতে থাকলে অফিসের স্টাফগণসহ অফিসে যাতায়াতকারী লোকজন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ওই ঘটনা ফাঁস করে দেয়। পরে খবর পেয়ে তার বাবা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত জানতে পারে এবং সেদিনই কিশোর পুত্রকে নিয়ে থানায় গিয়ে উপপরিচালক খলিলকে একমাত্র আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করে।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে বিএডিসির উপপরিচালক খলিলের মুঠোফোনে কল দিয়ে সেটি বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

বুধবার বিকেলে জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. খাইরুল কবীর সুমন জানান, মঙ্গলবার ওই কিশোরের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি পরীক্ষার বিষয়ে কোন মতামত না দিয়ে জানান, রিপোর্ট দিতে ৪/৫ দিন সময় লাগবে।

এ ব্যাপারে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাঈম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সেইসাথে আদালতে তার জবানবন্দিও গ্রহণ করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। তার মতে, ডাক্তারি রিপোর্ট ও তদন্তেই জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সুমন দেবনাথ জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি ভিকটিমের পরিধেয় প্যান্ট-শার্টসহ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া মামলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীরও জবানবন্দি গ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ