Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোলায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমও মারা গেলেন

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০২২, ৪:৫১ পিএম

ভোলায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত রহিমের মৃত্যুর শোক কাটতে না কাটতে ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমও মারা গেলেন। গত তিন দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম। ভোলায় পুলিশের হামলায় আহত হয়ে, রাজধানী ঢাকার গ্রীণ রোড কমফোর্ট হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন নুরে আলম।
ভোলায় পুলিশের হামলায় আহত হলে, ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলে নুরে আলমকে কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে আজ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এর আগে সারাদেশে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে, গ্যাস, বিদ্যুতসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ৩১শে জুলাই ভোলা জেলা বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। শহরের কালীনাথ রায়ের বাজার এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সমাবেশ শেষে মিছিল করতে রাস্তায় নামে দলীয় নেতাকর্মীরা।
এসময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তাদের।পুলিশ নেতা কর্মীদের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে এতে পুলিশকে লক্ষ করে ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয় তারাও। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০ রাউন্ড টিয়ার শেল ও ১৬৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলে তাদের ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের হারেছ মাতব্বরের ছেলে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আব্দুর রহিম মারা যান। মাথায় গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমকে ভোলা হাসপাতাল থেকে প্রথমে বরিশাল সেবাচিমে পাঠানো হয়।
সেখানকার ডাক্তাররা ব্যর্থ হয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ঢাকায় পাঠান। গত তিনদিন হাসপাতালে থাকার পর বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেল ৩টা ৫ মিনিটের দিকে রাজধানী ঢাকার গ্রীণ রোড কমফোর্ট হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় আজ তিনি মারা যান।নূরে আলমের শ্বশুর আবুল বাছেত বাচ্চু হাওলাদার মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।এলাকায় শোকের ছায়া নেমে পরছে। এ নিয়ে ভোলায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে মৃত্যুর সংখ্যা হল ২ জন। উল্লেখ এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০ জনের নামে দুটি মামলা করে। এরই মধ্যে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার আতঙ্কে এলাকা ছাড়া বিএনপি নেতা কর্মীরা। এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ